আজ ৩০জানুয়ারী তৃতীয় ধাপে পাবনার সুজানগর পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও নির্বাচন কমিশনের স্থগিতাদেশের কারণে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছেনা। নির্বাচনের মাত্র একদিন আগে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রিটপিটিশন নং ৯৬৪৪/২০২০’র প্রেক্ষিতে শুক্রবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ মোরশে আলম স্বাক্ষরিত এক পত্রে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্বাচন স্থগিতের ঐ নির্দেশ দেওয়া হয়। এ নিয়ে দ্বিতীয় দফা ওই পৌরসভা নির্বাচন স্থগিত করা হলো। প্রথম দফায় দ্বিতীয় ধাপে গত ১৬ জানুয়ারী নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল। কিন্তু ঐ একই রিটপিটিশনের প্রেক্ষিতে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোঃ রওশন আলী তৃতীয় ধাপের ঐ নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে হঠাৎ করে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যাওয়ায় ভোট গ্রহণের সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সেই সঙ্গে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা অপচয় হয়। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফাতেমা খাতুন বলেন নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ নির্বাচনের সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। সেমোতাবেক শুক্রবার সকালে বিজিবি, পুলিশ এবং আনসার সদস্যসহ নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট অধিকাংশ কর্মকর্তা ভোট গ্রহণের লক্ষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এসে উপস্থিত হয়। কিন্তু ঐদিন সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নির্বাচন স্থগিতের নিদের্শনা আসায় তারা আবার ব্যাগপত্র ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। এতে অনেকেই সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বর্তমান পৌর মেয়র আবদুল ওহাব উচ্চ আদালতে ঐ রিটপিটিশন দায়ের করেন। নির্বাচনে ৩জন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনে ২জন মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত ২জন মেয়র পদপ্রার্থী, ৫জন মহিলা কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ও ২০জন সাধারণ কাউন্সিলর পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।