শেরপুর জেলার নকলা ও নালিতাবাড়ী পৌরসভার নির্বাচনের শনিবার সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সকালে ভোটার উপস্থিতি ছিল খুবই কম। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে বলে জানান প্রার্থীরা।
নকলা পৌরসভায় ১৩ হাজার ৮ পুরুষ ভোটার ও ১৪ হাজার ১শ ৫১ জন মহিলা ভোটারসহ মোট ২৭হাজার ১শ ৫৯ জন ভোটার ১২টি কেন্দ্রে ভোট প্রদান করছে। এ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত হাফিজুর রহমান লিটন, বিএনপির এনামুল হক রিপন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মিজানুর রহমান ও আনোয়ার হোসেন আনারসহ ৪ মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৮ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৫ জনসহ মোট ৫৭ প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। ভোট শান্তিপূর্ণ করতে ৩ শতাধিক র্যাব, পুলিশ ও আনসারসদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন।
নালিতাবাড়ী পৌরসভায় ১০ হাজার ৬৩১ জন পুরুষ ভোটার ও ১১ হাজার ৫শ ২ জন মহিলা ভোটারসহ মোট ২২ হাজার ১৩৩ জন ভোটার ১০টি কেন্দ্রে ভোট প্রদান করছেন। এ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত আবু বক্কর, বিএনপির আনোয়ার হোসেন ২ মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৪ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১১ জনসহ মোট ৫৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। ভোট শান্তিপূর্ণ করতে ৩ শতাধিক পুলিশ, র্যাব, ও আনসার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন।
নকলায় পাইলট স্কুল কেন্দ্রে ভোটের শুরুতেই স্বতন্ত্র প্রার্থীর একজন এজেন্টকে মারধোর করাসহ কয়েকটি কেন্দ্র থেকে বিএনপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন প্রার্থীরা।
এসময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাফিজুর রহমান লিটন জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে এবং তিনি নিশ্চিত বিজয় হবেন বলে আশা করেন। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান জানান, তার এজেন্টকে মারধোর করা হচ্ছে। এরপরও নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তিনি বিজয়ী হবেন।
বিএনপির প্রার্থী এনামুল হক রিপন জানান, আমার এজেন্টদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে হুমকি দেয়া হয়েছে। কেন্দ্র থেকেও বের করে দেয়া হয়েছে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শানিয়াজ্জামান তালুকদার জানান, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সবধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভোটে যাতে আগেভাগে কোন কারচুপি করতে না পারে সেজন্য শনিবার ভোরে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌছানো হয়।