শেরপুরের নকলায় ফাঁসিতে ঝুলে প্রেমিক হেলাল মিয়া (৩২) ও প্রেমিকা হাসি বেগম (২৬) আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে পুলিশ নকলা উপজেলার ৬ নং পাঠাকাঠা ইউনিয়নের গোয়ালের কান্দা এলাকা থেকে হাসির এবং শনিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে হেলালের লাশ উদ্ধার করে। এলাকাবাসীর ধারণা, পরকীয়া প্রেম জানাজানি হওয়ার ভয়ে তারা আত্মহত্যা করেন। হেলাল ওই এলাকার ইয়াদ আলীর ছেলে এবং প্রেমিকা একই এলাকার সোবাহানের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয়রা হাসির লাশ বাড়ির পাশে কাঠ বাগানের একটি জিগার গাছের উপর ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
একই সময়ে হেলালও নিখোঁজ হয়। পরে রাতে খোঁজাখুঁজি করে তাকে পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে হাসির বাড়ির পাশের একটি বেল গাছের সাথে হেলালকে ফাঁসিতে ঝুলে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পরে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
নকলা থানার এসআই রাজিব কুমার ভৌমিক বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ কিছু বলছে না। আসল ঘটনা কি তা তদন্ত করে দেখা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১০ বছর আগে হাসির সাথে বিয়ে হয় ওই এলাকার সোবাহানের। হাসির সাত বছরের একটি ছেলে রয়েছে। হেলাল নিজেও বিবাহিত ও এক ছেলে সন্তানের জনক।
প্রেমিক হেলাল ও হাসির স্বামী সোবাহান দূর-সম্পর্কের চাচা-ভাতিজা। সোবাহান ঢাকার গাজীপুরে পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। ৩-৪ বছর ধরে হাসির বাসায় হেলাল নিয়মিত যাতায়াত করছিল বলে জানা গেছে।