শেরপুরের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক প্রকাশ হওয়ায় ১১ ঘন্টার ব্যবধানে আত্মহত্যা করেছে প্রেমিক-প্রেমিকা। শনিবার জেলার নকলা উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের গোয়ালিয়া কান্দায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো ইয়াদ আলীর পুত্র হেলাল (৩০) এবং হাসি (২৫), সে একই এলাকার সোবাহানের স্ত্রীর। হেলাল ও হাসির স্বামী সোবাহান সম্পর্কের চাচা-ভাতিজা।
হেলার এবং হাসির মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে এ ঘটনা জানাজানি হবার পর শুক্রবার দিবাগত রাতে হাসি ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ হাসির মরদেহ বাড়ির কাছের একটি বাগান থেকে উদ্ধার করে।
শনিবার সকাল ১০টায় হাসির ঘরের পিছন থেকে ফাঁসিতে ঝুলে থাকা অবস্থায় হেলালের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এলাকাবাসীর ধারনা দুজন একই সাথে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে।
৯ বছর আগে হাসির সাথে বিয়ে হয় ওই এলাকার সোবাহানের। হাসির ৮ বছরের একটি ছেলে আছে। হেলাল নিজেও বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে হেলাল হাসির বাসায় আসে। একপর্যায়ে তাদের ঘনিষ্ঠতা হাসির ছেলে ইয়ামিন দেখে ফেলে। ইয়ামিন যেন কাউকে না বলে দেয়, এইজন্য দুজনেই ইয়ামিনকে ভয় দেখায়।
ছেলে ইয়ামিনের জন্য রাতের খাবার আনতে যাবার কথা বলে হাসি বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেনি হাসি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর হাসির ঝুলন্ত মরদেহ দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। এরপর সকালে হেলালকে হাসির ঘরের পিছনে একটি বাঁশের মাচার সাথে ফাঁসিতে ঝুলে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর ধারণা, পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি জানাজানির হওয়ার ভয়ে দুজনে একই সময় আত্মহত্যা করেছে।