নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল হক জিয়া বলেছেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় ছিলেন মুজিব বাহিনী ও মুক্তিযুদ্ধের দক্ষ সংগঠক এবং স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সদস্য। স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয় গঠন, কন্ট্রল রুমের দায়িত্ব থেকে মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে তিনি আমাদের অনেককে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে স্থানীয় ছাত্র, যুবক, কৃষক, শ্রমিককে নিয়ে বসুরহাট হাইস্কুল মাঠে ট্রেনিং এর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এরপর তিনি ভারত গিয়ে নিজেই ট্রেনিং নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে কোম্পানীগঞ্জ থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হিসাবে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং সন্মুখ যুদ্ধে তিনি অংশগ্রহণ করেন।
শনিবার বিকালে নোয়াখালীর বসুরহাটে শীর্ষ অনলাইন নিউজ এজেন্সি এফএনএসকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। জিয়াউল হক জিয়া এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ওবায়দুল কাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও দর্শনে বিশ্বাস করতেন। এজন্য দেশ প্রেম নিয়ে তিনি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তাঁর কাছে আত্মীয়-অনাত্মীয় এবং স্বাধীনতা বিরোধী সবাই সমান। এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এমপি সাম্প্রতিক সময়ে কটাক্ষ করে যে মন্তব্য করেছেন তা সত্যিই দুঃখজনক। বেদনা দায়ক। একজন এমপি সারা বাংলাদেশের জনপ্রিয় আরেক নেতার নামে এভাবে কথা বলতে পারেন না।
জিয়াউল হক জিয়া জোরালো কন্ঠে বলেন, এতে আমাদের সকল মুক্তিযোদ্ধাদের অনুভুতিতে চরম আঘাত করা হয়েছে এবং অসম্মান করা হয়েছে। তিনি কোন দল করেন আমার জানার বিষয় নয়। তাছাড়া আমি কোম্পানীগঞ্জের একজন সচেতন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে আমার অনুভুতিতেও বেশি আঘাত লেগেছে। কষ্ট লেগেছে। এজন্য আমি একরাম চৌধুরী এমপির ওই কুটুক্তির জোরালো নিন্দা জানাই এবং প্রতিবাদ জানাই। জিয়াউল হক জিয়া আরো বলেন, আমি একরাম চৌধুরীকে সবিনয় অনুরোধ করছি- আপনি শুধু ওবায়দুল কাদের সাহেবের কাছে ক্ষমা চাইলে হবেনা। আপনি গাছের মুল কেটে আগায় পানি ঢালবেন; এতে কিছুই হবেনা। আপনাকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় এবং জামুকাসহ বাংলাদেশের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে গণমাধ্যমের মাধ্যমে সরাসরি ক্ষমা চাইতে হবে।