লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনী সহিংসতায় ৩ জন গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়েছে। শনিবার বেলা ১১টার দিকে পশ্চিম কাজিরখিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন চলাকালিন সময় প্রতিদ্বন্ধি কাউন্সিলর প্রতিকের ২জন কাউন্সিলর প্রার্থীর কেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে রামগঞ্জ সরকারী হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়। পরে পুলিশের ডিআইজি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক বিডিআর, র্যাব ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। ঘটনার সময় আধঘন্টা যাবত ভোট গ্রহন স্থগিত থাকলেও থমথমে পরিস্থিতির মধ্যে আবারো ভোট গ্রহন শুরু হয়।
পুলিশ জানান,দুইজন কাউন্সিলর প্রার্থীসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। হামলাকারীদের নির্বৃত্ত করতে পুলিশ ৮০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েছেন তারা।
স্থানীয়রা জানায়, পৌর ৬নং ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রে জালভোট দেয়া কে কেন্দ্র করে উটপাখি প্রতিকের কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী পাঞ্জাবী প্রতিকের প্রার্থী মামুনুর রশিদ আকন্দের সমর্থকদের সাথে কথাকাটাকাটি হয়। ওসময় একদল দুর্বত্ত দর দও করে পশ্চিম কাজির খিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এসে অতর্কিত হামলা চালায় কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে। একপর্যায়ে হামলাকারীদের এলাপাতাড়ি গুলি ও মারধরে এতে আলমগী,কামাল হোসেন,জামসেদসহ ৩জন ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয়।এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। এছাড়াও সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে কেন্দ্র দখলের চেষ্টাকালে খবর পেয়ে চট্রগ্রম পুলিশের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বিপিএিম (বার), পিপিএম এর নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক বিডিআর, র্যাব ও পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফাঁকাগুলি ও এলোপাতাড়ি লাঠি চার্জ করে হামলাকারীদের চত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়। তবে কেন্দ্রের কোন কিছু খোয়া যায়নি বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবী।
অপরদিকে পৃথক ঘটনায় টামটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ২০/৩০টি ককটেলের বিস্ফোরন ঘটিয়ে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করলে সেখানে কাউন্সিলর প্রার্থী গাজর প্রতিকের মামুন ভূঁইয়া কেন্দ্র দখলের চেষ্টা চালায়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, জেলা প্রশাসক আনোয়ার হোসেন আকন্দ ও পুলিশ সুপার ড. এএইচএম কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে পুলিশ, বিজিবি লাঠি পেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সেখান থেকে প্রশাসন দুইজনকে নিরাপদ হেফাজতে নিয়ে যায়। এ ছাড়া সোনাপুর সরকারী প্রার্থী বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুইজন কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। দুইজন কাউন্সিলর প্রার্থীসহ ৪জনকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বিপিএম(বার) পিপিএম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আইনশৃংখলা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়ার কথা জানান।
পুলিশের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বিপিএম(বার) পিপিএম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে আইনশৃংখলা বাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহন করে এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেয়ার কথা জানান।