নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে যৌতুকের কারণে এক কলেজছাত্রী ও তার বাবা-মা অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় সোমবার নির্যাতিতা সুমি রায় তার স্বামীসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, বড়ভিটা ইউনিয়নের বড়ডুমরিয়া চাপুয়াপাড়া গ্রামের কালিপদ রায় প্রতিবেশী দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সুমি রায়কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন। কয়েকদিন পরে কনের বাবা বাস্তুভিটা বিক্রি করে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দিলেও চাহিদা মেটেনি বর ও তার বাবা কেশর চন্দ্র ও মা সুমতি রায়ের। তাদের দাবিকৃত আরো ২ লাখ টাকা ছাড়া শুক্রবার বিকেলে ওই কলেজছাত্রী শ্বশুর বাড়িতে যাওয়ায় তার স্বামীসহ পরিবারের লোকজন তাকে অমানবিক নির্যাতন করেন। খবর পেয়ে তার বাবা সুধীর চন্দ্র ও মা গীতা রাণী জামাতার বাড়িতে গেলে একপর্যায়ে তাদেরকেও বেদম মারধর ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। পরে স্থানীয়রা নববধূ সুমি রায় ও তার বাবা-মাকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন।
এব্যপারে কিশোরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল আউয়াল অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ কর্মকর্তা পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।