দৈনিক যুগান্তরের ২২ বছর পদার্পণ উপলক্ষে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে সোমবার সকাল থেকে উপজেলা পরিষদে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়।
‘অভিযাত্রায় অবিচল’ স্লোগানে যুগান্তর স্বজন সমাবেশের আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও যুগান্তরের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে উপজেলা চত্ত্বরে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এরআগে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সুধী সমাবেশ করা হয়। এ সময় কেক কেটে দিনটি উযাপন করা হয়।
এই সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রতিনিধি কামরুল হাসান। এতে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. জহির উদ্দিন আহম্মেদ, রাঙ্গাবালী থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ দেওয়ান জগলুল হাসান, উপজেলা প্রকৌশলী মিজানুল কবির, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা রিপন খন্দকার, ইউআরসি কর্মকর্তা কবিরুল ইসলাম, চরমোন্তাজ ইউপি চেয়ারম্যান হানিফ মিয়া, হালিমা খাতুন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ নূরে আলম বিপ্লব, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান উজ্জ্বল, উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান শিমুল, ভার্কের সমন্বয়কারী মোহসীন তালুকদার, রাঙ্গাবালী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম সোহেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হিরণ ও আইয়ুব খান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, যুগান্তর পাঠকের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছে। খুব অল্প দিনেই এটি একটি জনপ্রিয় পত্রিকা হিসেবে পাঠকের কাছে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বস্তুনিষ্ঠ ও অপোসহীন সংবাদ পরিবেশনে যুগান্তর শীর্ষ পর্যায়ের একটি সাহসী দৈনিক। সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার সাহসীকতা নিয়ে এগিয়ে চলছে যুগান্তর। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে প্রত্যাশা করেন বক্তারা। বক্তারা আরও বলেন, অতীতের মত ভবিষ্যতেও উপকূলের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও সাফল্য-সম্ভাবনাসহ সকল বিষয় উঠে আসুক পাঠকপ্রিয় যুগান্তরে। উপকূলের সংবাদগুলোকে আরও গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশের দাবি জানান তারা।