রংপুরের পীরগঞ্জে শতভাগ মহিলা/স্বামী নিগৃহীতাদের সরকারী ভাতার আওতাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হচ্ছে না। ফলে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করার পরেও পীরগঞ্জে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ৩ হাজার ১ শ’ ২৯ জন মহিলা/স্বামী নিগৃহীতা ভাতা প্রাপ্তির সুযোগ থেকে আপাতত বঞ্চিত থাকছেন। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে সরকারের অর্থ মন্ত্রনালয়ের অর্থ বিভাগ, বাজেট-১, অনু বিভাগ, অধিশাখা -৯ এর যুগ্ন সচীব নাজমা মোবারেক এর গত বছরের ২৪ জুন এক স্মারকে জারীকৃত পরিপত্রে জানা গেছে সারা দেশে ১শ’ ১২ উপজেলায় শতভাগ মহিলা/স্বামী নিগৃহীতাকে ভাতা প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। স্বাক্ষরিত পত্রে ১ শ’ ১২ উপজেলার মধ্যে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ এ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান নুর মোহাম্মদ মন্ডল গত বছরের ৪ আগস্ট ঊ ঃ প ঃ পীর ঃ/২০২০-৫ সুত্রে স্বাক্ষরিত এক পত্রে শতভাগ ভাতার বিষয়টি উল্লেখ করে ০৯ আগষ্ট/২০২০ ইং এর মধ্যে ভাতাপ্রাপ্তির জন্য আবেদন আহবান করেন। এজন্য পীরগঞ্জের প্রতিটি ইউনিয়নে প্রচারের মাধ্যমে মহিলা/স্বামী নিগৃহীতাদের কাছ থেকে আবেদন আহবান করা হয়। এর প্রেক্ষিতে উপজেলার চৈত্রকোল ইউনিয়নে ৪২১, ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নে ৪৪২, বড়দরগাহ ইউনিয়নে ৫৪৪, কুমেদপুর ইউনিয়নে ৪৭০, মদনখালী ইউনিয়নে ৪১৯, টুকুরিয়া ইউনিয়নে ৩৫২, বড়আলমপুর ইউনিয়নে ২৪৬, রায়পুর ইউনিয়নে ৩৪৪, পীরগঞ্জ ইউনিয়নে ৮০৬, শানেরহাট ইউনিয়নে ৫৯৩, পাঁচগাছি ইউনিয়নে ৩৬৭, মিঠিপুর ইউনিয়নে ৫২৭, রামনাথপুর ইউনিয়নে ৬৯৬, চতরা ইউনিয়নে ৪০৪ ও কাবিলপুর ইউনিয়নে ৬৩৮ টি আবেদন পত্র জমা পড়ে। পরবর্তিতে উপজেলা সমাজ সেবা বিভাগ প্রতিটি ইউনিয়নে আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে লটারীর মাধ্যমে ভাতা ভোগীদের নির্বাচন করা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চৈত্রকোল ইউনিয়নে ২৪০, ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নে ২৩৫, বড়দরগাহ ইউনিয়নে ৩১০, কুমেদপুর ইউনিয়নে ২৬৮, মদনখালী ইউনিয়নে ২৩৯, টুকুরিয়া ইউনিয়নে ২০১, বড়আলমপুর ইউনিয়নে ১৫৫, রায়পুর ইউনিয়নে ২০৮, পীরগঞ্জ ইউনিয়নে ৪৬০, শানেরহাট ইউনিয়নে ৩৩৮, পাঁচগাছি ইউনিয়নে ২০৯, মিঠিপুর ইউনিয়নে ৩০১, রামনাথপুর ইউনিয়নে ৩৯৭, চতরা ইউনিয়নে ২৩০ ও কাবিলপুর ইউনিয়নে ৩৬৪ জন ব্যাক্তিকে ভাতাভোগীর তালিকা চুড়ান্ত করা হয়। ইতিমধ্যেই বেশীর ভাগ ইউনিয়নে ভাতা ভোগী নির্বাচন করা হয়েছে এবং অবশিষ্ট ইউনিয়নে আগামী সপ্তাহ নাগাদ লটারী অনুষ্ঠিত হবে। এতে করে পীরগঞ্জের ৭ হাজার ২শ’ ৮৪ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৪ হাজার ১’শ ৫৫ জন ভাতার আওতায় আসছেন এবং অবশিষ্ঠ ৩ হাজার ১’শ ২৯ জন এ সুবিধা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত থাকছেন। উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, পরবর্তিতে আরও নতুন বরাদ্দ পাওয়া গেলে বাদ পড়া মহিলা/স্বামী নিগৃহীতাদের মধ্য থেকে এ ভাতার আওতায় আনা হবে।