বরিশাল বাবুগঞ্জে অগ্রণী ব্যাংকের এক শাখা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি,অনিয়ম,দূর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় গ্রাহকরা শাখা ব্যবস্থাপককে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে,বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়ন’র স্টীমারঘাট বাজার অগ্রণী ব্যাংক এর শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ মঞ্জুরুল হক এর বিরুদ্ধে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে অনিয়ম,অদক্ষতা ও দূর্ণীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছারা ও শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির হিসাব খোলার সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা আদায়, কর্মসৃজন-কর্মসূচির শ্রমিকদের হিসাব খোলার সময় ও টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে অবৈধ ভাবে টাকা আদায়, প্রবাসীদের পাঠানো টাকা গ্রাহক উত্তোলনের পরে শাখা ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে অনৈতিক ভাবে টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহনের অভিযোগ, কর্পোরেট গ্রাহদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ নানা অভিযোগ আনেন গ্রাহকরা। এছাড়াও ব্যাংকের নিরাপত্তাকর্মী মোঃ হাইউম মৃধার উপর একই অভিযোগ আনছেন গ্রাহকরা। এদিকে শাখা ব্যবস্থাপক ও নিরাপত্তাকর্মীর এমন অনিয়ম,অদক্ষতা ও দূর্ণীতির অভিযোগে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ গ্রাহকরা এ বিষয়ে বরিশাল সার্কেল মহা-ব্যবস্থাপক ও উপমহা-ব্যবস্থাপক এর কাছে প্রতিকার চেয়ে গত ২৫ জানুয়ারী লিখিত অভিযোগ দাযের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অগ্রণী ব্যাংক বরিশাল জেলার সিনিয়র প্রিন্সিপাল কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী খান’র নেতৃত্বে একটি তদন্ত টিম বুধবার দুপুরে স্টীমারঘাট শাখা তদন্ত করে এবং স্থানীয় গ্রাহকদের সাথে কথা বলেন। এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ব্যাংকের গ্রাহক মোঃ নূরে আলম বেপারী,সমাজ সেবক আজিজুল ইসলাম বাবুলসহ শতাধিক ব্যবসায়ী ও গ্রাহকরা উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগের বিষয়ে স্টীমারঘাট বাজার শাখা ব্যবস্থাপক মোঃ মঞ্জুরুল হক বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। মূলত স্টীমারঘাট বাজার শাখাটি থেকে কোন ধরণের প্রফিট পাচ্ছেনা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যে কারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের শাখাটি অনাত্র স্থানান্তরের পরিকল্পনা রয়েছে। এর জেরধরে স্থানীয়রা আমার বিরুদ্ধে অপঃপ্রচার চালাচ্ছে। তাদের ধারণ আমার কারণে এটি স্থানান্তর হতে চলছে।