রাণীশংকৈল উপজেলার পূর্ব রাতোর গ্রামে (হিন্দু পাড়া) বুধবার (৩ ফ্রেরুয়ারী) সন্ধ্যায় আগুন লেগে ১৯টি বাড়ির প্রায় ৩০টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে গরু ছাগল ঘরের আসবাবপত্র মালামালসহ ১৫-১৬ লক্ষাধিক টাকার মত ক্ষতি হয়েছে এমন ধারণা করা হচ্ছে। এলাকাবাসী ও প্রতক্ষদর্শীরা জানায় রাতোর গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায় পাথানুর বাড়ির ঠাকুর ঘরে সন্ধ্যা প্রদীপ জ¦ালাতে গিয়ে এই আগুনের সূত্রপাত শুরু হয়। হঠাৎ করে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িড়ে পড়ে চারিদিক। খবর পেয়ে রাণীশংকৈল ও পীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ৩ ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। রানীশংকৈলে আগুনে ৩৮ টি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে ২ শিশু দগ্ধ হলে তাদের চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির স্টিভ ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রহিম, রাতোর ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান শরৎ চন্দ্র, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আকতার হোসেন, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সবুর,স্হানীয় ইউপি সদস্য সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্হিত ছিলেন। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো হলো বুদ্ধি নাথ রায়, ভেনসা রায়, ঘগেন চন্দ্র, পাথানু মোহন, মাঝিল রায়, কামিনী বালা রায়, ধনদেব রায় ,বকুল চন্দ্র, ফুলশরি বালা, হরিপদ রায় ,সফিন চন্দ্র, গোবিন্দ রায়, আলতা রায়, তুরেন চন্দ্র ,গদা রায় সহ অনেকে। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মাঝে নগদ ২হাজার টাকা, কম্বল,খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল জুলকার নাইন কবির স্টিভ বলেন ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে পরবর্তী সাহায্যের জন্য লিখিত আবেদন চাওয়া হয়েছে। আবেদন পেলে সরকারি ভাবে তাদের সহযোগিতা করা হবে।