ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নে খাল খননের নামে পরিবেশের উপর তান্ডব লীলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃক্ষ কর্তন ও ফসলী জমি নষ্ট করার প্রতিবাদ করায় স্থানীয় নওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল হাসান টিপুর উপর হামলা করেছে বৃক্ষ কর্তনের সাথে জড়িত সন্ত্রাসীরা। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ঢাকা খুলনা মহসাড়কের ছোন্দাহ নামক স্থানে ক্ষতিগ্রস্থ শতাধিক পরিবার ক্ষতিপূরণের দাবী ও ইউপি চেয়ারম্যানের লাঞ্চিত করার সাথে জড়িতদের শাস্তির লক্ষ্যে দুই ঘন্টাব্যাপী এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল হাসান টিপুর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে স্থানীয় শিক্ষক, ইউপি সদস্য, রাজনীতিবীদ ও ক্ষতিগ্রস্থরা বক্তব্য রাখেন। মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. ইউসুফ হোসেন, সমাজ সেবক আবুল কালাম আজাদ, বাগাট বাজার বনিক সমিতির সভাপতি মির্জা জাকির হোসেন, মির্জা মোশারফ হোসেন, ইউপি সদস্য মুজিবুর রহমান, প্রমুখ।
সরেজমিনে দেখা যায় ছোন্দাহ থেকে চর বাগাট পর্যন্ত খালের দুইপাশের ছোটবড় সহস্রাধিক বৃক্ষ কেটে ফেলা হয়েছে নির্মম ভাবে। যে বৃক্ষগুলো পাশ্ববর্তী চলাচলের রাস্তাকে বর্ষা মৌসুমে খালের ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতো। আনুমানিক পঁচিশটি বড় বড় তালগাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছে পাশের জমিতে। অথচ খাল থেকে তালগাছ সমূহের দূরত্ব বহুদূর। উপস্থিত অনেকেই অভিযোগ করেন খাল খননকারীদের গাছ কাটতে নিষেধ করায় ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তারা অন্যায়ভাবে বড় বড় তাল গাছগুলো কেটে ফেলেছে। এ ছাড়া খালের মাটি কেটে পাশ্বর্তী ফসলি জমিতে ফেলে ফসল নষ্ট করার সত্যতাও দৃশ্যমান। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জানতে চাইলে কর্মসূচিতে উপস্থিত নওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে গত বুধবার ৩ ফেব্রুয়ারী. তারিখ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার পথে বিভিন্ন মামলার আসামী, লুটপাট চক্রের হোতা ও খাল খননে নেতৃত্বদানকারী মফিজের নেতৃত্বে সজল, লিটন, মামুনসহ অন্যান্যরা দেশীয় অস্র ঠেকিয়ে তাকে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত রাখে এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে লাঞ্চিত করে। তিনি আরও বলেন ঐ চক্রটি উত্তোলিত মাটি টাকার বিনিময়ে বিক্রির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি তিনি ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করেন মর্মে জানিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থদের ভাষ্য খাল খননে তাদের কোন আপত্তি নাই কিন্তু খালে থাকা সরকারি জমি পরিমাপ, জমির অবস্থান নির্ণয় না করে কেন তাদের সর্বশান্ত করা হলো। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জন্য প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট দাবী জানান। নিজেদের জমির ফসল ও মূল্যবান বৃক্ষ হারিয়ে অনেককেই কাঁদতে দেখা যায়।