ফরিদপুরে ‘সবার জন্য অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক মানসম্মত শিক্ষা’র বিষয়কে সামনে রেখে শিক্ষা বাজেট ও নাগরিক ভাবনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক অতুল সরকার বলেন, শিক্ষা নিয়ে নানা ভাবে গবেষণা হচ্ছে কিন্তু আমরা এ গবেষণার কাক্সিক্ষত সুফল দেখতে পাচ্ছি না। গবেষণার নামে আমরা ভাসা ভাসা কথা বলি কিন্তু সমস্যার গভীরে গিয়ে সংকট সমাধানের পথ বের করতে পারি না।
জেলা প্রশাসক বলেন, শিক্ষার পাশাপাশি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কারিগরি ট্রেড যুক্ত হওয়া প্রয়োজন। কোন শিক্ষার্থীর কোন দিকে ঝোঁক তার উপর ভিত্তি করে তার শিক্ষার বুনিয়াদ সুদৃঢ় করার উপর জোর দেওয়া প্রয়োজন।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রাসিন ও গণসাক্ষরতা অভিযানের আয়োজনে এডুকেশন আউটলাউড এর সহযোগিতায় এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটিসি) সাইফুল কবির।
আলোচনায় অংশ নেন ফরিদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক মোল্লা, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোস, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ মোশার্রফ আলী, ফরিদপুর মেডেকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আসম জাহাঙ্গীর চৌধুরী, জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আলী আহসান, বাকীগঞ্জ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান, ফরিদপুর মুসলিম মিশন কলেজের অধ্যক্স আব্দুল্লা আল মামুন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌহিদুর ইসলাম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিষ্ণুপদ ঘোষাল, প্রথম আলোর ফরিদপুর প্রতিনিধি পান্না বালা, ফরিদপুর আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের খারাপ ফলের জন্য বেশী দায়ি শিক্ষককা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অব কাঠামোগত উন্নতি হলেও শিক্ষার মান ক্রম্রাগত নিম্মমুখী। প্রয়োজন কারিগড়ি শিক্ষার প্রতি অধিক জোর দেওয়া।