চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছে ৪৩০ রান। সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের প্রথম ইনিংসের শুরুতেই হারিয়েছে ওপেনার জন ক্যাম্পবেলকে। অনেকদিন পর টেস্ট একাদশে সুযোগ হয়েছে মোস্তাফিজুর রহমানের। টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার জবাবটা তিনি বল হাতে নিয়েই দিলেন। বাঁহাতি পেসার দলকে এনে দিয়েছেন প্রথম উইকেট। তার বলে এলবিডাব্লিউয়ের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ৩ রান করা ক্যাম্পবেল। সীমিত ওভারের ক্ষেত্রে এই বাঁহাতি পেসার প্রথম পছন্দ থাকলেও লাল বলের ক্রিকেটে বারবার হয়েছেন উপেক্ষিত। ২০১৯ সালের মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে সবশেষ টেস্ট খেলা মোস্তাফিজের লাল বলের স্কিলের ঘাটতি থাকার কথা জানিয়েছিলেন প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। যে কারণে গত বছরের ফেব্রুয়ারির পাকিস্তান সফরের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি তার। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে স্কোয়াডে ফিরলেও ডোমিঙ্গো জানিয়েছিলেন, বাঁহাতি পেসারের বোলিং নিয়ে কাজ করাতেই শুধু দলে রাখা হয়েছে। সেই তিনি লাল বলের ক্রিকেটে ফিরতেই করলেন উইকেট উদযাপন। তার বলে ক্যাম্পবেলের বিদায়ের সময় ক্যারিবিয়ানদের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ১১ রান।
আলোকিত মিরাজে বাংলাদেশের ৪৩০
আন্তর্জাতিক তো দূরে থাক, ঘরোয়া ক্রিকেটেও কখনও তিন অঙ্কের ঘরে যাওয়া হয়নি মেহেদী হাসান মিরাজের। সেই তিনিই লম্বা বিরতির পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরেই পেয়ে গেলেন সেঞ্চুরি। তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রাম টেস্টে বড় সংগ্রহ গড়েছে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে অলআউট হওয়ার আগে স্বাগতিকরা করেছে ৪৩০ রান। জোমেল ওয়ারিকানের বলে ২ রান নিয়ে সেঞ্চুরি পূরণ করেন মিরাজ। ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করতে লেগেছে তার ১৬০ বল। রাকিম কর্নওয়ালের বলে আউট হওয়ার আগে ডানহাতি ব্যাটসম্যান খেলে যান ১০৩ রানের ঝলমলে ইনিংস। ১৬৮ বলের স্মরণীয় ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১৩ বাউন্ডারিতে। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে তার আউটে শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। এছাড়া হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। খেলেছেন ৬৮ রানের ইনিংস। লিটন দাস আউট হয়েছেন ৩৮ রানে। আর আগের দিন ফিফটি পেয়েছিলেন সাদমান ইসলাম (৫৯)।