বাগেরহাটের চিতলমারীতে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ে উপযুক্ত কাগজপত্র এবং সাক্ষী উপস্থাপন করতে না পারায় ১৬ জন তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। বৃহস্পতিবার(৩০জানুয়ারী) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নোটিশ বোর্ডে বাছাই কমিটির সব সদস্যের স্বাক্ষর সম্বলিত বাদ পড়াদের নামের তালিকা লটকিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে ‘উপস্থাপিত সাক্ষ্য প্রমাণাদি না থাকায় (১৬ জন) মুক্তিযোদ্ধা নয়’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
বাদ পড়াদের তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তারা হলেন, বড়বাড়িয়া গ্রামের এফ এম বদর উজ্জামান (আনসার বাহিনী), একই গ্রামের মোঃ কেরামত আলী খান, একই গ্রামের আঃ হক শিকদার (মৃত), বড়গুনি গ্রামের বাবর আলী মোল্লা (মৃত), বারাশিয়া গ্রামের মোঃ নুর ইসলাম শেখ, একই গ্রামের চান মিয়া শেখ, বাঁশবাড়িয়া গ্রামের মোঃ তাছেন শেখ (মৃত), পরানপুর গ্রামের মোশারেফ, ঘোলা গ্রামের শেখ মোঃ ফরিদ আহম্মেদ (মৃত), পারনপুর গ্রামের মোঃ আবদুর রশিদ, মাছুয়ারকুল গ্রামের জ্যেতিষ বসু, বাকপুর গ্রামের ছলেমান শেখ, শৈলদাহ গ্রামের ইদ্রিস শেখ, শিবপুর গ্রামের মোস্তফা শেখ (মৃত), একই গ্রামের মোঃ সরোয়ার হোসেন (মৃত) ও আড়ুয়াবর্নী গ্রামের মোঃ আঃ সাত্তার খান।
উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে যাচাই-বাছাই কমিটিতে ছিলেন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কর্তৃক মনোনীত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএমএ সবুর, সংসদ সদস্য কর্তৃক মনোনীত সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম, জেলা প্রশাসক কর্তৃক মনোনীত সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা রণজিৎ কুমার বাড়ৈ ও মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি এবং সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফুল আলম।
১৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি তালিকা যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। সেখানে ১৬জনের প্রয়োজনীয় তথ্যাদি না পাওয়ায় তালিকা থেকে বাদ দেয়ার সুপারিস করা হয়।তবে তালিকা থেকে বাদপড়া সবাই মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ে আপিল করতে পারবেন বলে জানানো হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফুল আলম জানান, যাচাই-বাছাই তালিকার ১৫৬ জনের মধ্যে দুজন অনুপস্থিত ছিলেন। খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পেরেছি ওই দুজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। স্বচ্ছতার সঙ্গে বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করায় তালিকা থেকে ১৬ জন বাদ পড়েছেন।