সারাদেশের ন্যায় রাঙ্গামাটিসহ ১০ উপজেলার হাসপাতালগুলোতে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারী) সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ভিডিও কনফারেন্সে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি উদ্বোধনের পরপরই রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে ১টি বুথে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি শুরু হয়।
পরে রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ,কে,এম মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার মোদদাছছের হোসেন, চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসাসহ প্রথম সারির উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ও হাসপাতালের ডাক্তারা উপস্থিত থেকে করোনার টিকা গ্রহন করেন।
রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা জানান, উদ্বোধনের প্রথম দিনে রাঙ্গামাটি সদর হাসপাতালে ৪০জনকে করোনার ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। আগামীকাল থেকে যথা নিয়মে ৪টি কেন্দ্রে ৩শ থেকে ৪শ মানুষকে টিকা প্রদান করা হবে। এ ছাড়া রাঙ্গামাটি ৯ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনার টিকা গ্রহনের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমাদের রাঙ্গামাটিতে প্রতি মাসে মাসে এই করোনার টিকা আসবে সেই অনুপাতে রাঙ্গামাটি জেলার সকল জনগোষ্ঠি টিকার আওতায় চলে আসবে। টিকা নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি আছে। তবে এখানে বিভ্রান্তি হওয়ার কোন সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পরে দিন ঢাকার তিনটি হাসপাতালে মন্ত্রী, সচিব, চিকিৎসকসহ ৬শত জনকে করোনা টিকা প্রধান করা হয়েছে এবং তারা সবাই সুস্থ আছেন কোন সমস্যা নেই। এই পর্যন্ত রাঙ্গামাটিতে ৬হাজারের উপরে রেজিষ্টেশন করা হয়েছে। ধাবে ধাবে তাদের করোনার টিকা প্রদান করা হবে।
টিকা গ্রহনের পর এ ব্যাপারে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক এ কে মামুনুর রশিদ বলেন, আমাদের মাঝে করোনার টিকা নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য শোনা গেছে। তাই বিভ্রান্তি হওয়ার কোন সুযোগ নেই। আজ আমরাও স্বাচ্ছন্দে করোনার টিকা গ্রহন করেছি। তাই রাঙ্গামাটি জেলার সকল জনগণকে অনুরোধ করবো পর্যায়ক্রমে এই করোনা টিকা গ্রহন করতে। আর কোন ধরনের বিভ্রান্তি তথ্যে কান না দিয়ে সবাই আমাদের সুরক্ষা অ্যাপস আছে সেখানে সবাই রেজিষ্ট্রেশন করবেন এবং আমাদের সদর হাসপাতালসহ ১০টি উপজেলার যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আছে সেখানে গিয়ে নিয়ম অনুসারে টিকা গ্রহন করবেন।
টিকা গ্রহনের পর চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় রাঙ্গামাটিতে বসবাসরত সকল জনগোষ্ঠিকে আহবান জানিয়ে বলেন, কোন কিছু বিভ্রান্তিকর কথা না শুনে, সরকারের উপর আস্থা রেখে এই টিকা প্রদানে যেখানে সুযোগ পাওয়া যায় সেখানে এই টিকা গ্রহন করে। আমি সুযোগ পেয়ে আজ দৌড়ে এসেছি। কোন চিন্তা আমার ভেতরে নেই। তাই আশি আশা করি আমাদের দেশের সকলে শীঘ্রই টিকা গ্রহনের সুযোগ পাই এবং এই করোনা রোগ থেকে দেশ উত্তরণ পেতে পারে।
উল্লেখ্য, প্রথম ধাপে গত ৩১ জানুয়ারি সকালে রাঙ্গামাটিতে ১২ হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিন পৌঁছে।