জামালপুরে স্ত্রীকে হত্যার অপরাধে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে জেলা ও দায়রা জজ আদালত। রোববার দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো: জুলফিকার আলী খাঁন এই দন্ডাদেশ দেন, একই সাথে তিন জনকে খালাস দেয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পি.পি নির্মল কান্তি ভদ্র জানান, সরিষাবাড়ী উপজেলার করগ্রাম পশ্চিমপাড়া এলাকার ওয়াদুদ মন্ডলের ছেলে হারুনের সাথে তার স্ত্রী মহমুদা বেগমের মধ্যে হাওলাতি টাকা পরিশোধ নিয়ে কলহ চলছিল। টাকা পরিশোধে আস্বীকৃতির করণে ২০১২ সালের ১১ জুলাই সকালে নিজ বাড়িতে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে স্বামী হারুন ও তার দুই বোন রিজু বেগম, রাজিয়া বেগম এবং বাবা ওয়াদুদ মন্ডল মাহমুদা বেগমকে মারধর করে। স্বামী গলা চেপে ধরে ও অন্য আসামিরা বাঁশ ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মাহামুদাকে হত্যা করা হয় এবং লাশ গুম করার চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহত মাহমুদা বেগমের বাবা খলিলুর রহমান বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে সরিষাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২১ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের স্বাক্ষ্যের ভিত্তিতে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে পেনেল কোর্ট, ১৮৬০ এর ৩০২ ধারার অপরাধে স্বামী হারুনকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো: জুলফিকার আলী খাঁন, তবে যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামি হারুন পলাতক রয়েছে। এ ছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামীর দুই বোন ও বাবাকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।
আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আমান উল্লাহ আকাশ ও অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক।