পাবনার সুজানগরে পদ্মা নদীর কোলের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় উপজেলার প্রায় ৬হাজার মৎস্যজীবী বেকার হয়ে পড়েছে। এতে তারা পরিবারপরিজন নিয়ে আহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন।
ভুক্তভোগী মৎস্যজীবীরা জানায়, প্রত্যেক বছর জানুয়ারী মাসে পদ্মার পানি একদম কমে গেলেও পদ্মার কোলের পানি তেমন একটা কমেনা। অনেকটা ভরা বর্ষা মৌসুমের মতই কোলে পানি থাকে। বিশেষ করে উপজেলার সাতবাড়ীয়া, নিশ্চিন্তপুর, গোয়ারিয়া, মালিফা, মহনপুর এবং কামারহাট এলাকায় পদ্মা নদীর কোলে গভীর পানি থাকে। এ সময় উপজেলার প্রায় ৬হাজার মৎস্যজীবী ঐ সকল কোল থেকে রুই, কাতলা এবং বোয়ালসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় মাছ ধরে স্থানীয় হাট-বাজারে বিক্রি করে জীবীকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু এ বছর জানুয়ারী মাসের শুরুতেই পদ্মার পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে ঐ সকল কোলের পানিও প্রায় শুকিয়ে গেছে। এতে এলাকার মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে না পারায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। উপজেলার তারাবাড়ীয়া গ্রামের মৎস্যজীবী বন্দে আলী বলেন, আমি এবং আমার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য পদ্মা নদী ও নদীর কোলে মাছ ধরে জীবীকা নির্বাহ করে থাকে। কিন্তু বর্তমানে কোলের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় সবাই বেকার হয়ে পড়েছি। একই ধরনের কথা বলেন উপজেলার তারাবাড়ীয়া গ্রামের মৎস্যজীবী জামাল উদ্দিন। তিনি বলেন শুষ্ক মৌসুমে পদ্মা নদীর চেয়ে পদ্মা নদীর কোলেই বেশি মাছ পাওয়া যায়। আর আমরা মৎস্যজীবীরা ঐ মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। কিন্তু চলতি শুষ্ক মৌসুমে ঐ কোল শুকিয়ে যাওয়ায় আমরা মৎস্যজীবীরা সংসারের ব্যয়ভার চালালে হিমশিম খাচ্ছি। ভুক্তভোগী মৎস্যজীবীরা পদ্মা নদীর ওই কোল খনন করে সারা বছর পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। স্থানীয় এমপি আহমেদ ফিরোজ কবির বলেন পদ্মার কোল খননের বিষয়টি সরকারের নীতি-নর্ধারণী ফোরামের ব্যাপার। আমি চেষ্টা করবো বিষয়টি ঐ ফোরামকে অবহিত করার।