কিশোরগঞ্জে স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে হত্যার দায়ে স্বামী নজরুল ইসলামকে মৃত্যুদ-ের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার সকালে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন। আসামি নজরুল ইসলাম পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের পাবদা গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের ছেলে। এ সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের পেশকার আমিনুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, একই গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রহিমা খাতুনের (১৮) সরলতার সুযোগ নিয়ে নজরুল ইসলাম (২৫) তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। একপর্যায়ে রহিমা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি তার অভিভাবকদের নজরে আসে। এ নিয়ে সালিশ দরবারে নজরুল ইসলাম সম্পর্কের কথা স্বীকার করলে ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর তাদের মধ্যে বিয়ে হয়। বিয়ের তিনদিন পর রহিমা একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়।
২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি শিশুসন্তানসহ রহিমা নিখোঁজ হয়। স্বামীর বাড়ির লোকজন রহিমা সন্তানসহ আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছে বলে প্রচার করে। পরে রহিমার বাবার বাড়ির লোকজন ওই আত্মীয়ের বাড়িতে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন রহিমা তাদের বাড়িতে যায়নি। সাতদিন পর আঙ্গিয়াদী এলাকার বিলভরা গুদি বিলের পানিতে সন্তানসহ রহিমার লাশ ভেসে উঠে।
২২ জানুয়ারি রহিমার বড় ভাই আব্দুল আউয়াল বাদী হয়ে নজরুল ইসলামসহ তার পরিবারের চারজনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি নজরুল ইসলাম গ্রেফতার হয়। পরে আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন তিনি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাকুন্দিয়া থানার আহুতিয়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহাব উদ্দিন ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি নজরুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন।