ইন্দুরকানীতে বসত বাড়ীর উপর দিয়ে জোর করে রাস্তা নেওয়ায় সময় বাধায় আহত -২। রোববার বিকালে উপজেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের লক্ষিদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সরেজমিনের গেলে জানা যায়, লক্ষিদিয়া গ্রামের হুমায়ুন কবির হাওলাদারের বসত বাড়ীর উপর দিয়ে জোর করে একই এলাকার এছাহাক মোল্লার ছেলে সাইফুল ইসলাম ও মহিদুল ইসলাম নেতৃত্বে ৫০/৬০জন ভাড়াটিয়া লোক এনে বড় দাও, লাঠি, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আফজাল হাওলাদারের ছেলে হুমাউন কবিরের বসতবাড়ীর উপর দিয়ে জোর করে রাস্তা বানানোর চেষ্টা করে। এ সময় সাইফুল ও মহিদুলের ভাড়াটে লোকজন হুমায়ুন কবিরের পাকের ঘর ভাংচুর করে। এতে বাধা দিতে গেলে হুমায়ুন কবিরের স্ত্রী ছবুরা বেগম (৩৫) ও রুবি বেগম (৩০) গুরুত্বর আহত হয়। এ ব্যাপারে হুমাউন কবির বলেন, আমরা বাড়ীতে না থাকায় তারা আমাদের বসত ঘর ভাংচুর করে ও রাস্তা তৈরি করার জন্য ফলজ গাছ কেটে ফেলে এবং অকর্থ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমার স্ত্রী ও ভাবিকে আহত করে।
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বলেন,আমাদের জায়গা দিয়ে আমরা নতুন রাস্তা তৈরি করতে চাই। কিন্তু তাদের ঘরে পিছন হওয়ায় তারা রাস্তা করতে বাধা দেয় এবং রাস্তা কেটে ফেলে।
এব্যাপারে স্থানীয় ফিরোজ খান জানান, সাইফুল ও হুমায়ুনের বাড়ী সামনে দিয়ে কার্প্রিিটং রাস্তা আছে। সেখান থেকে দীর্ঘদিন সাইফুল মোল্লা ও হুমায়ুন রা উভয় চলাচল করে। সেই রাস্তা সরকারি ভাবে কাজ করা। তারপরেও হুমায়ুন কবিরের বসতঘরের পিছন থেকে জোর করে রাস্তা নিতে চায় সাইফুলরা।
এব্যাপারে পাড়েরহাট ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার বাবুল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শালিশ ব্যবস্থা করা হয়। সাইফুলরা শালিশ না মেনে বহিরাগত লোক এনে জোর করে হুমায়ুন কবিরের বসতঘরের পিছন দিয়ে ভোগদখলে থাকা জমির উপর দিয়ে নতুন রাস্তা বানানোর চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে ইন্দুরকানী থানার ্ওসি সহ আমরা পরিদর্শন করি উভয়ের মধ্যে মিমাংসার চেষ্টা করছি।