চতুর্থ দফা ১৪ ফেব্রুয়ারী রাজশাহীর তানোর পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচন ঘিরে প্রচার-প্রচারণা বেশ জমে উঠেছে। প্রার্থীর পাশাপাশি সমর্থক ও দলীয় নেতা-কর্মীরা মরিয়া হয়ে উঠেছে ভোট যুদ্ধে জয়ী হতে। নির্বাচনী প্রচারণায় এবার প্রার্থীর নারী ও তরুণী সমর্থকদের দৌঁড়াত্ম্য বেশ চরমে। অপরদিকে, নিজ নিজ দলের স্থানীয় ও জেলা অথবা কেন্দ্রের নেতারা কখনো মিছিল আবার কখনো সমাবেশ করছেন।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থীর পক্ষে ভোট চেয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন তারা। প্রতিকী লিফলেট বিতরণ করছেন। প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইছেন। অধিকাংশ প্রার্থী এবার প্রচুর অর্থ ব্যয় করায় কতিপয় নারী ও তরুণী ছুঁটছেন, দল-বল বেঁধে। এক একটি দলে ১০ থেকে ১৫ জন পর্যন্ত থাকছেন। এতে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলছেন না অনেক প্রার্থী ও সমর্থকেরা।
এনিয়ে ভোটার ইমদাদুল হক বলেন, নির্বাচন ঘিরে প্রচার-প্রচারণায় মূখরিত পৌর এলাকা। উৎসবকেও হার মানিয়েছে এবারের নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। নির্ধারিত’র চেয়ে অধিক মাইক ব্যবহার ও অতিরিক্ত সময় মাইকিং, প্রতিনিয়ত মিছিল, শো-ডাউন চলছে। মাইকিং ও মিছিলের স্লোগানে কান যেনো ঝালাপালা হচ্ছে। রাস্তা এবং সড়ক অবরোধ করে চলছে, মিছিল ও শো-ডাউন। যেনো দেখার কেউ নেই। এছাড়াও প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে নিজ নিজ দলের স্থানীয় ও জেলা অথবা কেন্দ্রের নেতারা কখনো মিছিল আবার কখনো সমাবেশ করছেন।
পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার মেয়রপ্রার্থী ইমরুল হক, বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী জেলা বিএনপির অন্যতম সদস্য বর্তমান মেয়র মিজানুর রহমান মিজান ও বিএনপির বহিস্কৃত বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মালেক মন্ডল। তার প্রতীক নারিকেল গাছ। ভোটাররা বলছেন, নির্বাচনে মূলত নৌকা ও ধানের শীষ প্রার্থীর মধ্যে চুড়ান্ত লড়াই হবে।
ভোটের হাওয়ায় বিভিন্ন চা দোকান, মোড়ে ও পাড়া-মহল্লায় এখন নির্বাচনী আলাপ আলোচনা শোনা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রার্থীরা তাদের পক্ষে দোয়া প্রার্থনা করে পোস্টার ও ব্যানারে পৌর এলাকা ভরে তুলেছেন।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪ হাজার ৬৬৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১২ হাজার ৩৮ জন এবং নারী ১২ হাজার ৬২৯ জন। ১৩টি ভোট কেন্দ্রে ৬৮টি বুথ-এ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুষ্মিতা রায় বলেন, সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দিতে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।