৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সেরা দিন। ২০২০ সালে এই দিনে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে জয় তুলেছিল লাল-সবুজরা। দক্ষিণ আফিকায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের শিরোপা লাভ করেছিল আকবর আলী নেতৃত্বাধীন দলটি।
গেল বছর ১৭ জানুয়ারি শুরু হয় যু্ব বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। টুর্নামেন্টে চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে অংশ নেয় ১৬টি দল। ‘সি’ গ্রুপে ছিল বাংলাদেশ। প্রথম পর্বে জিম্বাবুয়ে ও স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে বড় জয় পায় আকবর আলীরা। বৃষ্টির কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি পণ্ড হয়। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার লিগ তথা কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছায় যুবা টাইগাররা।
প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে জিম্বাবুয়ে। বৃষ্টি বিঘ্নিত এই ইনিংসে ২৮.১ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে আফ্রিকার দেশটি সংগ্রহ করে ১৩৭ রান। ডি/এল পদ্ধতিতে টাইগারদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২২ ওভারে ১৩০ রান। জবাবে মাত্র ১১.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান তুলে নেয় লাল-সবুজরা। ৬৪ বল খেলে ৯ উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠে ছাড়ে তারা।
নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে পাত্তাই দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। মাত্র ৮৯ রানে গুটিয়ে যায় স্কটিশরা। ১৬.৪ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করে ৩ উইকেট হারিয়ে ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নেয় আকবরের দল।
গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান। ব্যাট হাতে ১০৬ রানে ৯ উইকেট চলে গেলে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। এর মধ্যে বৃষ্টি শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত পয়েন্ট ভাগ হয় দুই দলের মধ্যে।
কোয়ার্টার ফাইনালে ‘সি’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৬১ রান সংগ্রহ করে টাইগার যুবারা। জবাবে ১৫৭ রানেই গুটিয়ে যায় বিশ্বকাপের আয়োজকরা। ১০৪ রানের জয় তুলে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
টাইগার যুবাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সেমিফাইনালে ২১১ রান করতে সক্ষম হয় নিউজিল্যান্ড। ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৪.১ ওভারে বাংলাদেশ টপকে যায় এই লক্ষ্য। ফলে ৩৫ বল হাতে রেখে ছয় উইকেটে জয় তুলে নেয় তারা।
ঠিক এক বছর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি ছিল শিরোপার লড়াই। ফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিল চারবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। ২০১৮ সালের শিরোপাধারীরা বাংলাদেশের সামনে ১৭৭ রান সংগ্রহ করে। এই ম্যাচেও হানা দেয় বৃষ্টি। ৪৬ ওভারে লাল-সবুজের জার্সিধারীদের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৭০ রান। সহজ লক্ষ্য তুলতে গিয়ে বিপর্যয়ে পড়তে হয় বাংলাদেশকে।
৬৫ রানে চার উইকেট হারানো দলের হাল ধরেন অধিনায়ক আকবর। ৭৭ বলে ৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২৩ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে জয়ে শিরোপা লাভ করে বাংলাদেশ।