বৈরি আবহাওয়া ও প্রতিকুল পরিবেশ বাধা না হলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে ধান রোপিত হওয়ায় বোরো আবাদে কৃষকের বাম্পার ফলনের আশা করছেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি বিভাগ।
কৃষি অফিস সূত্রে, গত বছরের ঘন ঘন বন্যা, অত্যধিক পোকা মাকড়ের আক্রমন, বৈরি আবহাওয়াসহ আরো নানা প্রতিকুলতায় কৃষক সর্বশান্ত। আবার প্রতি বছরই কৃষক ধানে লোকসান গুনতে গুনতে ক্লান্ত। অপরদিকে কোন জরুরী মুহূর্ত ছাড়াই ধানের বাজারও এবার উর্দ্ধো মুখি। এবার বোরো আবাদ চলতে চলতে বিগত সময়ের উঠানো কৃষকের আমন ধানের বাজার এখন তুঙ্গে। বাজরের হিসাব অনুযায়ী প্রতিমন মোটা ধানের বাজার মূল্য এখন প্রায় ১৩শ টাকা বা ক্ষেত্র বিশেষ তারও বেশি। তাই এবার কৃষক বেশ আগ্রহী হয়ে বোরো আবাদের দিকে ঝুকেছে। ফলে কৃষি বিভাগের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কিছুটা বেশি জমিতে বোরো আবাদ করেছে কৃষকেরা। গতবারের বন্যায় কৃষকরা বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হযেছিল। সে অনুযায়ী কিছুটা হলেও এবার ১০ হাজার কৃষককের মাঝে প্রশিক্ষন ও বোরো বীজতলাসহ নানা প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মোঃ ওয়াসিফ রহমান বলেন, এবার বোরা আবাদে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ২২ হাজার ৭৫১ হেক্টর জমি। অর্জিত হয়েছে ২২ হাজার ৭৫৮ হেক্টর জমি। অর্ত্যাৎ আরো ৭ হেক্টর জমি বেশি আবাদে এসেছে। এবার ধানের বাজার ভাল। ফলে কৃষক আবাদের দিকে ঝুকেছে। সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে এবার বাম্পার ফলন আশা করছি।