করোনা ভাইরাসের টিকা দেয়া শুরুর দ্বিতীয় দিন ৮ ফেব্রুয়ারী নীলফামারী জেলার ৬টি হাসপাতালে আরও ৫শ ৩০ জনকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। প্রথম দিনে ৭ ফেব্রুয়ারী ২শ ৩০ জন টিকা গ্রহন করেন। গত ২ দিনে এ জেলার টিকা গ্রহনকারীরা সকলেই সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জানা যায়।
দ্বিতীয় দিন নীলফামারী জেলা জজশীপের সকল বিচারক ও কর্মকর্তা কর্মচারী, নীলফামারীর ৫৬ বিজিবির কর্মকর্তাসহ সৈনিক, গোয়েন্দা বিভাগেরর কর্মকর্তাগণ, জেলার পুলিশ সদস্য প্রথমসারির ব্যক্তিরা করোনার টিকা নেন বলে নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবির। প্রথম দিন জেলার সর্বপ্রথম টিকা গ্রহিতা জেলার জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স জেসমিন নাহার সেতুকে দেখা যায় তিনি গতকাল ৮ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালের বুথে বিভিন্নজনকে টিকা পুষ করছেন। এ সময় তিনি বলেন আমি সুস্থ্য ও স্বাভাবিক রয়েছি এবং করোনা টিকা প্রদানে দায়িত্ব পালন করছি। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সুত্র মতে জেলায় এ পর্যন্ত টিকা গ্রহনকারী সকলেই সুস্থ্য রয়েছেন। দ্বিতীয় দিন সোমবার জেলার ৬ উপজেলার হিসাবে করোনা টিকা নেন পুরুষ ৪শ ৩৮ ও নারী ৯২ জনসহ মোট ৫শ ৩০ জন। এরমধ্যে জেলা সদরে ২শ ৭০ জনের মধ্যে নারী ৬০ জন, ডোমারে ৭০ জনের মধ্যে ১১ জন নারী, ডিমলায় ৮০ জনের মধ্যে ১১ জন নারী, জলঢাকায় ৩০ জনের মধ্যে ৫ জন নারী, কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় ৩০ জনের মধ্যে ২ জন নারী ও সৈয়দপুর উপজেলায় ২০ জনের মধ্যে ৩ জন নারী ও সৈয়দপুর সেনানিবাসের সিএমএইচ হাসপাতালে ৩০ জন।
উল্লেখ্য নীলফামারী জেলায় ৬০ হাজার টিকার মধ্যে ৩০ হাজার ব্যক্তি প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ পাবেন। ২ দিনে এ জেলায় টিকা গ্রহণ করেছেন মোট ৭শ ৬০ জন। এরমধ্যে নারী ১শ ৩৩ জন।
এদিকে করোনা টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে অনলাইনে বয়স সীমা ৪০ এ নিয়ে আসায় জেলায় নিবন্ধন সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।