বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে কোভিড-১৯ টিকা প্রয়োগের অংশ হিসেবে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় বহুল কাঙ্খিত কোভিড-১৯ টিকা প্রয়োগের তিন দিনে উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা, আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ, শিক্ষক, সরকারী কর্মকর্তাসহ ৬৩ জন ব্যক্তি কোভিড-১৯ টিকা গ্রহন করেছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারী কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে ১৭ জন, ৮ ফেব্রুয়ারী ১৬ জন এবং ৯ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার ৩০ জনসহ মোট ৬৩ জন ব্যক্তি কোভিড-১৯ টিকা গ্রহন করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য কোভিড-১৯ টিকা গ্রহনকারী ব্যক্তি থানা কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ গোলাম ছরোয়ার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম, উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বখতিয়ার আল মামুন, আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ মামুন মোল্লা, ডাঃ সৈকত জয়ধর, ডাঃ হাফিজুর রহমান দিপু, ডাঃ আলামিন হোসেন, হাসপাতালের রেডিও গ্রাফার পরিমল চন্দ্র মৃধা, সরকারী শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সরদার আকবর আলী, থানার এসআই মাহাবুব আলম, পুলিশ সদস্য সেলিম আহম্মেদ।
উপজেলা হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ বখতিয়ার আল মামুন জানান, সরকারীভাবে উপজেলায় ৯৪৭ ভায়াল কোভিড-১৯ টিকা সরবরাহ করা হয়েছে প্রতি ভায়াল থেকে ১০জনকে টিকা প্রদান করা যাবে। সেই হিসেবে উপজেলায় ৯হাজার ৪শ ৭০জনকে কোভিড-১৯ টিকা প্রদান করা যাবে। টিকার প্রথম ডোজ গ্রহনের চার সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় ডোজ গ্রহন করতে হবে। এপর্যন্ত উপজেলায় ৩ দিনে ৬৩ জন কোভিড-১৯ টিকা গ্রহন করেছেন। তিনি আরও জানান, সরকারের সুরক্ষা এ্যাপের রেজিষ্ট্রেশন ব্যতীত কোন ব্যক্তি কোভিড-১৯ টিকা গ্রহন করতে পারবেন না। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথম সারির কোভিড সম্মুখ যোদ্ধা এবং ৪০ বছরের উর্ধে ব্যক্তিরা কোভিড-১৯ টিকা গ্রহনে অগ্রাধিকার পাবেন।