করোনা নিয়ে অন্ধকারের রাস্তায় অগ্রসর হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। প্রতিনিয়ত তারা উপহার দিচ্ছে সাহেদ, সাবরিনার মত শত শত দুর্নীতিবাজ। ভুলে যায় তারা পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে সবাইকে, আর তাই রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার জন্য নীতি বিসর্জন দিয়ে এগিয়ে চলছে তারা। যখন বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ কোটি ৬৪ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২৩ লাখ ২৪ হাজার। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সিস্টেম সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের (সিএসএসই) তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ কোটি ৬৪ লাখ ৬০ হাজার ২৩০ জনে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৯১৬ জনের। আর এ পর্যন্ত সেরে উঠেছেন ৫ কোটি ৯৩ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮১ জন। তখনও একের পর এক দুর্নীতি করার কারণে চিকিৎসা খাত হয়ে উঠেছে অপরাধের স্বর্গরাজ্য। যে রাজ্যে একজন ড্রাইভারও শত শত কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে যায় অবৈধ উপায়ে।
বাংলাদেশের রাজনীতিকরা ক্ষমতায় আসলে আর ছাড়তে চায় না। করোনা সেই রাজনীতিকদের অনেককেও কেড়ে নিয়েছে। ক্ষমতাসীন এবং সাবেক ক্ষমতাসীনদের অনেকে যেমন চলে গেছে, তেমন হাজারো দুর্নীতির মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়া বর্তমানে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছার হাত ধরে জাতীয়ভাবে করোনা টিকাদানের প্রথম দিন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের টিকা গ্রহণে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না দেওয়া এবং নিবন্ধনের ক্ষেত্রে বয়সসীমা শিথিলতায় টিকাগ্রহীতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় দল-মত নির্বিশেষে কেন্দ্রে গিয়ে অনেকেই টিকা নিচ্ছেন। কেউ কেউ নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন। হাস্যরস করতেও দেখা গেছে অনেককে। দ্বিতীয় দিনে টিকা নিতে ইচ্ছুক মানুষের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যাওয়া ও টিকাগ্রহীতার সংখ্যা বাড়ায় সবাই টিকার আওতায় আসবে বলে আশাবাদ থাকলেও একটি বিষয় জেনে হতাশ হয়েছি, আর তা হলো টিকার এখন পর্যন্ত যে ব্যবস্থা হয়েছে এবং আগামীতে হবে, তাতে ১ হাজারের মধ্যে টিকা পাবেন মাত্র ১ জন। কিন্তু তা আমরা চাই না। চাই সবাই টিকার আওতায় আসুক এবং তা অবশ্যই বিনামূল্যে।
এমন চাওয়ার হাত ধরে রাজপথে থাকার সুবাদে, আন্দোলনের সুবাদে দেখেছি সরকার বিনামূল্যে টিকা প্রদানের সিদ্ধান্তে এসেছে। কিন্তু তার পরিমাণ এতটাই কম যে, প্রথম দিন ৩১ হাজার ১৬০ জন টিকা নিলেও দ্বিতীয় দিন এই সংখ্যা ৪৬ হাজার ৫০৯ জন বেড়ে মোট ৭৭ হাজার ৬৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশে করোনা টিকা নেওয়ার উপযোগী সবাইকে টিকা নিবন্ধনে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বয়স কমানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে বয়সসীমা পূর্বে নির্ধারিত ৫৫ বছরের পরিবর্তে ৪০ হলেই টিকা নেওয়া যাবে। যতদূর জেনেছি, এই টিকার কার্যকারিতা ৭০ শতাংশ। ১০০ জনের মধ্যে যদি ৭০ জন ইমিউন হয়ে যায়, তাহলে রোগটি হ্যান্ডেল বা এটি ছড়ানোর ক্ষেত্রে অনেক কমফোর্টেবল একটি জোন হতে পারে।
এত এত আশার মধ্যেও হতাশা- বেদনা নির্মিত হচ্ছে এই তথ্য জানার পর- প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৮ হাজার ২২১ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩১৬ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে। সারাদেশে করোনাভাইরাসের সর্বশেষ সংক্রমণ পরিস্থিতি পর্যালোচনায় আলোর খবর রাখার চেষ্টা করার সূত্রতায় জেনেছি- করোনা টেস্টের ১১৬টি আরটি-পিসিআর ল্যাব, ২৮টি জিন-এক্সপার্ট ল্যাব ও ৬২টি র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাবে অর্থাৎ ২০৬টি ল্যাবরেটরিতে ১৩ হাজার ৮৪১টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর যাচাই-বাছাই শেষে ১৩ হাজার ৭৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দাঁড়াল ৩৭ লাখ ৬২ হাজার ৭৭৪টি।
একদিকে স্বজন-প্রিয়জন হারানোর সংবাদ, অন্যদিকে সারাদেশে করোনাভাইরাসের গণ-টিকাদান কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে টিকা গ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার বেড়েছে। গণ-টিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিনে যে বিপুলসংখ্যক মানুষ টিকা নিয়েছেন, তাদের মধ্যে কারও শরীরেই তীব্র কিংবা মাঝারি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এমনকি টিকা গ্রহণের মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হারও ছিল উল্লেখ করার মত।
বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে জানতে পেরেছি- করোনার টিকা নিলে মাথাব্যথা, হালকা জ্বর, যেখানে টিকা দেওয়া হয়েছে সেখানে ব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করা বা কারও কারও বমিও হতে পারে। সিভিয়ার যে রিঅ্যাকশন হয় সেটা হচ্ছে 'শ্বাসকষ্ট'। সাডেন শক হিসেবে দু-একজনের সিভিয়ার জ্বরও হতে পারে। এ হার দুই থেকে তিন শতাংশ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে গত দুই দিনে দেশে যে সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে, তাতে মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ার হার আরও বিশগুণ কম হয়েছে। এ বিষয়টিকে তারা 'চমকপ্রদ' হিসেবে দেখছেন। টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার হার এ কোটায় থাকলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি পুরোপুরি কেটে যাবে। ফলে গণ-টিকাদান কর্মসূচি আশানুরূপভাবে সফল হবে বলে মনে করছেন তারা। তবে এরপরও যাতে টিকাদান পরবর্তী সবাইকে নিয়মমাফিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
যুক্তরাজ্যে ৪০ হাজার লোকের ওপর চালানো একটি জরিপের পর ফাইজার ও অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা 'অত্যন্ত নিরাপদ' বলে দাবি করা হয়েছে। টিকা গ্রহণকারীদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের কিছু বেশি লোকের কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে। তবে এর কোনোটিই গুরুতর কিছু নয়। যেকোনো টিকা নিলে এমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সাধারণত হয়েই থাকে। ৩৭ শতাংশের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বলতে ছিল ব্যথা এবং টিকা দেওয়ার জায়গাটিতে ফুলে যাওয়া। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এমন লোকদের মধ্যে ৪৫ শতাংশের এ প্রতিক্রিয়া হয়েছে। আর যারা এক ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের ১৪ শতাংশের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল টিকা নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে জ্বর, গায়ে ব্যথা, গা শিরশির করা, দুর্বল বোধ করা বা মাথাব্যথা। যদিও এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কয়েক দিনের মধ্যে ভালো হয়ে গেছে।
একদিকে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অন্ধকারের দিকে যখন হাঁটছে টিকা নেয়ার বিষয়টি নিয়ে, তখন পাশর্^বর্তী দেশ ভারতে গণ-টিকাদান কর্মসূচি শুরুর পর প্রথম তিন দিনে ৩ লাখ ৮০ হাজার মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হয়। এর মধ্যে মাত্র ৫৮০ জনের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাই বাংলাদেশেও যেহেতু একই টিকা (অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড) দেওয়া হবে, ফলে এখানেও কম সংখ্যক মানুষের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেবে-এমনটা তারা ধরেই নিয়েছিলেন। তাদের সে ধারণা এখন সত্য প্রমাণিত হয়েছে।
এই প্রমাণের হাত ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া আমজনতাকে করছে দ্বিধান্বিত-শঙ্কিত। এই শঙ্কা এই কারণে যে, টিকা আসার পর ৫৫ বছর বয়সিদের করোনার টিকার জন্য নিবন্ধনের সুযোগ দিয়েছিলো। এখন থেকে চল্লিশ বছর বয়সিরাও করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই সুযোগ তৈরি হয়েছে। বৈঠকে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেওয়ার জন্য বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে মহাবিপন্ন শকুন রক্ষায় কিটোপ্রোফেন জাতীয় ওষুধের উৎপাদন বন্ধ এবং সামরিক শাসনামলে জারি করা অধ্যাদেশগুলো আগামী জুনের মধ্যে আইনে পরিণত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভা থেকে।
৪০ বছর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। গতকাল সোমবার পর্যন্ত ৫৫ বছরের কম হলে কিন্তু টিকা দেওয়া হচ্ছিল না। এই দিনই বলে দেওয়া হয়েছে ৪০ বছর পর্যন্ত হলে টিকা দেওয়া যাবে। যা সোমবার থেকেই কার্যকর হয়েছে। তরুণ যারা আছেন আস্তে আস্তে তাদের ওপেন করে দিতে হবে। যারা ফ্রন্টলাইন ফাইটার আছেন প্রয়োজন হলে তাদের ফ্যামিলিকেও আস্তে আস্তে রেজিস্ট্রেশন করে টিকা দিয়ে দিতে হবে বলা হয়। এখন কথা হলো এই রেজিষ্ট্রেশন যারা করতে যাচ্ছেন, তারা পরছেন চরম বিড়ম্বনায়। প্রথমত যেখানেই রেজিষ্ট্রেশনের জন্য যাচ্ছেন নাগরিকগণ, সেখানেই স্টাফ, আনসার আর ডাক্তার-নার্সরা তৈরি করে রাখছেন ধু¤্রজাল। এই জালে পড়ে সাধারণ মানুষের অবস্থা দফারফা। ঠিক যেন লকডাউন চলাকালিন সময়ের সেই সময়ে ফিরে এসেছেন তারা। তখন যেমন ঘুষ দিয়ে করোনা টেস্ট করানোর সিরিয়াল ধরতে হয়েছে, এখন তেমন টিকার জন্যও গুণতে হচ্ছে উপরি অর্থ, পোহাতে হচ্ছে চরম ঝক্কি-ঝামেলা।
তার উপর আবার স্বাস্থ্যবিধি মানার যখন কোথাও কোন বালাই নেই, নেই হাঁট-বাজার-রাস্তা-ঘাটে স্বাভাবিকভাবে হাঁটার উপায়। তখন বলা হচ্ছে- টিকা নেওয়ার পরেও সবাই যেন অবশ্যই মাস্ক পরেন, প্রধানমন্ত্রী সেই অনুরোধ করেছেন বলে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'মাস্ক না পরলে কিন্তু কোনো কাজ হবে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এটা সুপারিশ করেছে। মাস্ক ছাড়া কোনো কাজ হবে না। তাই কোনো অবস্থাতেই মাস্কের সাথে যাতে কম্প্রোমাইজ করা না হয়।’ এই বক্তব্য কি আমাদের আমজনতার করোনা নিরাপত্তার জন্য, নাকি মাস্ক কোম্পানিগুলোর বাড়তি আয়ের রাস্তা প্রশস্থ করার জন্য? এই প্রশ্নের উত্তর যেমন আমার কাছে নেই, তেমন নেই করোনা পরিস্থিতিতে সামরিক শাসনামলের অধ্যাদেশ আইনে পরিণত করার নির্দেশনা এখন দেয়ার কি হেতু? তারও উত্তর। তবে খুব জানতে ইচ্ছে করছে ক্ষমতাই বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন শেষ কথা? যদি তাই না হবে, তবে কেন জাতির পিতার কন্যার মন্ত্রিসভায় সামরিক শাসনামলে জারি করা অধ্যাদেশগুলো আগামী জুনের মধ্যে আইনে পরিণত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে? কেন নিজেদের ব্যবসা রক্ষায় আম জনতাকে কিনতে বলা হচ্ছে মাস্ক কিন্তু দ্রব্যমূল্য কমানোর নিদের্শনা দেয়া হচ্ছে না? কেন নিয়ম করে দফায় চালের দাম বাড়াতে সহায়তা করছেন মাননীয় খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রী? আর কেনই বা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিরব ভূমিকা পালন করছেন করোনা পরিস্থিতিতে একের পর এক দুর্নীতিবাজদের হাজার হাজার কোটি টাকা দেশের বাইরের পাচারের কথা জেনেও?
আমরা আমজনতা বড় বেশি আবেগী। আর তাই ম্যাজিষ্ট্রেট সারওয়ার আলমরা যখন দুএকটা অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করে আমরা বাহবা দেই, দুই একজন সাহেদদেরকে আটক করলে আমরা খুশি হই। কিন্তু যখন এই সারওয়ার আলমদেরকে পদন্নতি দিয়ে অভিযান পরিচালনার রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়, ভুলে যাই। ভুলে যাই যেমন আমরা ভুলে গেছি নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার মত বর্বরোচিত ঘটনা।
তবু বারবার আমার মত অবিরত রাজপথে থাকা কিছু মানুষ লিখবে-বলবে বিবেক জাগ্রত করার প্রত্যয়ে। আর অন্ধকারে ঘুমিয়ে কাঁটাবে আবিদ আজমদের মত যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থক গোষ্ঠি, ভোলার দীপু বা পিকে হালদারের মত দুর্নীতিবাজদের রোল মডেলরা। এই সুযোগে গড়ে উঠবেই নতুন প্রজন্মের সাহসী ঐক্যবদ্ধতা। যে সাহসের রাস্তায় অবিরাম রোডমার্চ ছাত্র-যুব-জনতার অধিকার আদায় করবেই। করোনা পরিস্থিতি অথবা অন্য কোন দুযোর্গ মোকাবেলায় আমরা চাই সততা- মেধা- যোগ্যতা...
মোমিন মেহেদী : চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবি