দুই দফা এগিয়ে গিয়েও জিততে পারেনি ঢাকা আবাহনী। দারুণ পারফরম্যান্সে ঘুরে দাঁড়িয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে শেখ জামাল। শুধু কী তাই, হাইভোল্টেজ ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছে দুই দলই! উত্তেজনায় ঠাসা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি শেষ হয়েছে ২-২ গোলের ড্রতে। তাতে তৃতীয় ড্রতে আবাহনী ৭ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে থাকলো টেবিলের তৃতীয় স্থানে। বিপরীতে শেখ জামাল প্রথম ড্রতে ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে দ্বিতীয় স্থানে। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধের শুরু থেকে আবাহনীর আধিপত্য চলতে থাকে। ম্যাচের ১৩ মিনিটে তারা এগিয়েও যায়। রায়হান হাসানের লম্বা থ্রো-ইন থেকে বল ঘুরে আসে সোহেল রানার পায়ে, বক্সের বাইরে এই মিডফিল্ডারের জোরালো শটের ওপর হাইতির কেরভেন্স বেলফোর্ট বলের গতি পরিবর্তন করে জড়িয়ে দেন জালে। আবাহনীর অগ্রগামিতা বেশিক্ষণ থাকেনি। ১৯ মিনিটে শেখ জামাল সমতা ফেরায়। ওতাবেকের পাসে সুলায়মান সিল্লাহ বক্সে ঢুকে গোলকিপারের পাশ দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন স্কোরলাইন করেন ১-১। ৩৭ মিনিটে বল দখলের লড়াইয়ে রায়হান পড়ে যান। সলোমান কিং ইচ্ছে করে তার গায়ে বল মেরে বসেন। উত্তেজনা তৈরি হয়। শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে ধাক্কধাক্কি। একপর্যায়ে জুয়েল রানাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন সলোমন। এই অপরাধে ৪০ মিনিটে সলোমন ও জুয়েল দুজনকেই লালকার্ড দেখিয়ে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন রেফারি। এতে ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে থাকে দুই দল। প্রথমার্ধ স্কোরলাইন ১-১ থাকলেও বিরতি থেকে ঘুরে এসেই আবার আবাহনীর লিড। ৪৬ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে রায়হান হাসানের ক্রস থেকে ফ্রান্সিসকো তোরেস ডাইভিং হেডে গোলকিপার জিয়াকে পরাস্ত করেন। ৫০ মিনিটে শেখ জামালের ওমর জোবে সুযোগ নষ্ট না করলে ম্যাচে তখনই সমতা আসে। তবে ৭২ মিনিটে ঠিকই ম্যাচে ফেরে শেখ জামাল। সুলায়মানের থ্রু থেকে ওমর জোবে বক্সে ঢুকে গোলকিপার সোহেলকে একা পেয়ে লক্ষ্যভেদ করে ম্যাচে ফেরান সমতা। শেষ দিকে তোরেসের হেড থেকে নাসিরউদ্দিনের ফ্লিক জালে জড়ালেও রেফারি অফসাইডের কারণে তা বাতিল করে দেন। তা না হলে ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতো আবাহনী।