রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ধরনের সভা সমাবেশ বিক্ষোভ মৌন মিছিল অবস্থান নিষিদ্ধ ঘোষনা করে কতৃপক্ষের নির্দ্দেশ উপেক্ষা করে মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষক কর্মকর্তারা। অধিকার সুরক্ষা পরিষদ আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শিক্ষক কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের রাসেল চত্বর থেকে মুখে কালো কাঁপড় বেঁধে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষক কর্মকর্তরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ক্যাম্পাসে অবস্থিত উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা।
সেখানে বক্তব্য দেন অধিকার সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড, মতিউর রহমান তিনি বলেন উপাচার্য ঝুকিপুর্ন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ধরনের সভা সমাবেশ বিক্ষোভ মৌন মিছিল নিষিদ্ধা ঘোষনা করে যে নির্দ্দেশনা জারি করেছেন এটা সামরিক ফরমান আমরা তার এই অবৈধ নির্দ্দেশ মানিনা। আমরা তার নির্দ্দেশ উপেক্ষা করে বিক্ষোভ ও তার বাস ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলাম এবং এটা অব্যাহত থাকবে।
, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড, তুহিন ওয়াদুদ, অভিযোগ করেন বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ ১৪শ দিনের মধ্যে ১২শ দিনেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি। তার উপর দুর্নিতী নিয়োগ বানিজ্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছেন। তার এসব অনিয়মের প্রতিবাদ যাতে না হয় সে জন্য তিনি গোপনে ঢাকায় সিন্ডিকেট সভা দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ধরনের সভা সমাবেশ বিক্ষোভ অবস্থান কর্মসূচি নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে গনতান্ত্রিক র্চ্চার একটি স্থান এখানে ওনার অপকর্ম ঢাকতে অগনতান্ত্রিক নির্দ্দেশনা আমরা মানিনা। আমরা নির্দ্দেশনা ভেঙ্গে বিক্ষোভ ও তার বাসার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলাম এটা অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষনা দেন।বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারন সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন উপাচার্য ঝুকিপুর্ন কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ধরনের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছেন আসলে কারা ঝুকিপুর্ন শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মকর্তা কর্মচারী ? আমরা মনে করি উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে ঝুকিপুর্ন ব্যাক্তি তিনি এক এগারর কুশিলবদের একজন আমরা আর তার কোন কোন নিষেধাজ্ঞা মানবোনা বরং তাকে প্রতিহত করবো বলে ঘোষনা দেন। পরে মিছিলটি আবারো রাসেল চত্বরে এসে শেষ হয়।