ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ নিয়ে অটোরিক্সা করে বাড়ি ফেরা হলো না নুরী আক্তার (১০) নামের এক শিশুর। বালু ভর্তি ট্রাক্টরের ধাক্কায় ঘটনা স্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় তার সাথে অটোরিক্সায় থাকা নানা আবদুর রশিদ ও রিক্সা চালক হবিবর রহমান গুরুতর আহত হয়েছেন।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ১১ টায় সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের মোগলহাট-লালমনিটহাট সড়েকের ভাটারপাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নুরী আক্তার আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দক্ষিন গোবদা (ভিতরকুঠি) গ্রামের নজির হোসেনের শিশু কন্যা। অভাবের তারনায় নুরী একই উপজেলার ভেলাবাড়িতে তার নানা আবদুর রশিদের বাড়িতেই থাকতো। বাবা নজির হোসেন ঢাকায় থাকেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শি জানায়, মোগলহাট থেকে ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ নিয়ে অটোরিক্সা যোগে নানা বাড়ি ভেলাবাড়ি যাচ্ছিলো নুরী আক্তার। পথিমধ্যে ভাটারপাড় এলাকায় আসলে দ্রুত গতির একটি বালু ভর্তি ট্রাক্টর পিছন দিক থেকে ধাক্কা দিলে নুরীর মাথা থেতলে ঘটনা স্থলেই তার মৃত্যু হয় এবং রিক্সায় থাকা তার নানা ও রিক্সা চালক গুরুতর আহত হয়। ঘটনার পর পরই স্থানীয় লোকজন এসে গুরুতর আহত অবস্থায় নুরীর নানা নজির হোসেন ও রিক্সা চালক হবিবরকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য মুমূর্ষ অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন ঘাতক ট্রাক্টরটি আটক করলেও চালক পালিয়ে যায়।
নুরীর মা মৌসুমী আক্তার জানান, কয়েকদিন থেকে জ¦রে ভুক ছিল নুরী। এজন্য সকালে তাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য মোগলহাট পুলিন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় তার নানা। ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ নিয়ে বাড়ি ফেরার পথেই এ ঘটনা ঘটে।
লালমনিরহাট সদর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) শাহা আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর পরই সেখানে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ট্রাক্টর ও ক্ষতিগ্রস্থ অটোরিক্সাটি থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে। তবে ঘাতক ট্রাক্টরটি আটক করা হলেও চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।