বাজার পাওয়ার আশায় শীতকালিন সবজি ফুলকপি উৎপাদনে কৃষক যে আগ্রহ নিয়ে আবাদ করেছিল সে আশার উপড় গুড়ে বালি পড়েছে। উৎপাদন খরচ ও বাজার না পাওয়ায় ফুল বাজারে চরম ধ্বস নামায় কৃষকূল দিশেহারা হয়ে পড়েছে। জোড়া ১০ টাকাতেও কিনছে না ফুল কপি। ফলে গাড়ী ভাড়া দিয়ে বাজারে নিয়ে এসে বিক্রি করতে না পেরে ফুল কপি নিয়ে আবার বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন কৃষকেরা।
কৃষক ও কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বৈরি আবহাওয়া ও প্রতিকুল পরিবেশ ও বন্যার কারণে শীতের শুরুর সময় ফুল বাজার ছিল তুঙ্গে। বিক্রি হয়েছে কেজি দরে। একেকটা কপির দাম ছিল ৫০/৬০ টাকা। উৎপাদন বেশি হওয়ায় সেই কপির বাজার এখন চরম নি¤œমুখিতায় পড়েছে। এখন সেই কপি ৫টাকাতেও কিনছে না ক্রেতা ভুগীরা। ফলে ক্ষেত হতে কপি তুলে বাজারে নিয়ে বিক্রি করা পর্যন্ত কপির আসল দামও তুলতে পারছে না কৃষককুল। ফলে লোকসানের মুখে পড়েছে শেরপুরের কৃষকগন। অনেক কৃষক ফুলকপি বিক্রি করতে না পেরে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
শেরপুরের ১১নং বলাইচর ইউনিয়ন চরশ্রীপুর গ্রামের কৃষক সাইদুল হক বলেন, এক একর জমিতে ফুল কপি আবাদ করে সব মিলিয়ে ৬০ হাজার টাকা খরচ। বাজার নি¤œ হওয়ায় ৫টাকা বিক্রি করেও টাকা উঠছে না। এই ফুল কপি বিক্রি করতে না পারায় এই কপি এখন বাড়ীতে নিয়ে যাচ্ছি। এগুলি এখন গরু ছাগল কে খাওয়াতে হবে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মোঃ ওয়াসিফ রহমান বলেন, মৌসুমী সবজির তুলনায় বাজারে সরবরাহ বেশি। চাহিদা কম হওয়ায় বাজারে দাম কম। এ ব্যাপারে প্রনোদনা আসেনি। তবে সরকার কোন প্রনোদনা ঘোষনা করলে তা কৃষকরা পাবে।