শেরপুরের নকলা উপজেলায় একটি সেতুর অভাবে ৫ গ্রামের মানুষের ভোগান্তি চরমে।নকলা উপজেলার হাতিমারা, চরমুধুয়া নামাপাড়া এলাকার মধ্যবর্তী স্থানে মৃগী নদীর উপর জামালপুর সদর উপজেলার ৩টি গ্রাম সহ ৫ গ্রামের মানুষের একটি সেতুর অভাবে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এসব গ্রামের হাজার হাজার মানুষ একটি সেতুর অভাবে মৃগী নদীর ওপর নির্মিত বাঁশের ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে ৫টি গ্রামের মানুষ চলাচল করছে। এতে করে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান,সুদীর্ঘ বছর পার হলেও এখানে আজও কোন সেতু নির্মাণ হয়নি।নকলা ও জামালপুর সদর উপজেলার মানুষ চায় এই নদীতে একটি সেতু নির্মাণ হোক। চলাচলের জন্য প্রতি বছর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হলেও বন্যার সময় পানির তোড়ে সাঁকো অকেজো হয়ে যায়। ফলে এসব গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সময় নৌকা দিয়ে এখানকার মানুষ চলাচল করে।এতে করে এসব এলাকার চিকিৎসা, যাতায়াত ও উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত করাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত তারা।
তাদের ছোট ছোট ছেলে,মেয়েরা স্কুলে গেলে মা বাবার কাঁদে উঠে বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে যেতে হয়। সেতুর আভাবে এই দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মানুষ ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে উৎপাদিত পণ্য ও মালামাল পারাপার করছে। ফলে ফসলের ন্যায্যমূল্য হতে বঞ্চিত তারা।বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউপি চেয়ারম্যান সাজু সাঈদ সিদ্দিকি জানান, মৃগী নদীর উপর সেতু নির্মাণ করা অতীব প্রয়োজন। এখানে একটি সেতু নির্মানের জন্য এখানকার মানুষের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবী হয়ে উঠেছে। সংলিষ্ট বিভাগের সুনজর দেওয়া প্রয়োজন।