মিরপুরের ২২ গজে লড়ছেন মুমিনুল-মুশফিকরা। অন্যদিকে মাহমুদউল্লাহ ফেরার লড়াইয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। মিরপুরের একাডেমিতে একা অনুশীলন করে চলেছেন তিনি। সামনেই নিউজিল্যান্ড সফর, সেখানে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে খেলতে হবে বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককে। পাশাপাশি টেস্টে ফেরার মিশন তো আছেই। বৃহস্পতিবার দুপুরে একাডেমির ডান দিকের উইকেটে একজন থ্রোয়ারের সঙ্গে কিছুক্ষণ নক করেছেন মাহমুদউল্লাহ। পাশাপাশি জিমেও সময় কাটিয়েছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। গত বছরের মার্চে বিসিবি ক্রিকেটারদের কেন্দ্রীয় চুক্তি ঠিক করে। সেখানে টেস্টের চুক্তিতে ছিলেন না মাহমুদউল্লাহ। তাই জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে সিরিজেও এই ফরম্যাটে উপেক্ষিত বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। ২০১৮ সালের নভেম্বরে ঢাকায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রায় ৯ বছর পর টেস্ট সেঞ্চুরির দেখা পান মাহমুদউল্লাহ। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুই সিরিজে সেঞ্চুরি করে টেস্ট ক্রিকেটে নিজের ভূমিকার কথা জানান দেন। ঢাকায় ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ১৩৬ রানের আত্মবিশ্বাস নিয়ে যান নিউজিল্যান্ড সফরে। হ্যামিল্টনে ক্যারিয়ারসেরা ১৪৬ রানের পর ওয়েলিংটনে দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৬৭। কিন্তু সর্বশেষ চার টেস্টে কোনও ফিফটি নেই মাহমুদউল্লাহর। এই ৮ ইনিংসে তার সর্বোচ্চ রান ছিল অপরাজিত ৩৯, কলকাতায় ভারতের বিপক্ষে। আর পাকিস্তান সফরে রাওয়ালপিন্ডিতে নাসিম শাহর হ্যাটট্রিক বলের সামনে যেভাবে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন, তা রীতিমতো দৃষ্টিকটু। এরপরই গত মার্চে বিসিবি লাল বলের কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নাম কেটে দেয় মাহমুদউল্লাহর। যদিও মাহমুদউল্লাহর সামনে সুযোগ আছে টেস্টে ফেরার। প্রধান কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছিলেন, ‘তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং টেস্ট দলে ফেরার লড়াইয়ের চেষ্টা করার সিদ্ধান্ত তারই। আমি যা দেখেছি, মহামারীর এই সময়ে সে কঠোর পরিশ্রম করেছে, ৫-৬ কেজি ওজন ঝরিয়েছে। খুব ভালো ট্রেনিং করছে, খুব ভালো ব্যাটিং করছে। দলে ফিরতে আরও কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, যা সে করছেও। কোনও ক্রিকেটারকে কখনোই বাতিলের খাতায় ফেলে দেওয়া যায় না।’ এদিকে মাহমুদউল্লাহও টেস্টে ফিরতে মরিয়া। কথাটা তিনি জানিয়েও রেখেছেন, ‘আমি এখনও নিশ্চিত নই টেস্টে ফিরতে পারবো কিনা। আমি শুধু এটুকু বলবো, আমি চেষ্টা করবো যেন লড়াই করে নিজের জায়গাটা নিতে পারি। কারণ পারফরম্যান্সই সবকিছু।’