লক্ষ্মীপুরে এবার আড়াইশতএকর জমি অনাবাদি থাকার শঙ্কায় কৃষকরা। তারা বলছেন,কৃষি বিভাগ হাইব্রিড জাতের বোরো ধানের ব্লক প্রদর্শনী স্থাপনে কথা বলায় এ জমি ফাঁকা রাখা হয়েছে। নানা অনিয়ম ও কৃষি বিভাগের
নানা অনিয়মসহ কৃষি বিভাগের সিদান্তহীনতাকে দায়ী করছেন কৃষকরা। আর কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, কৃষকদের আশ্বাস দেওয়া হয়নি, ব্লক প্রদর্শনী স্থাপনে সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে।
জানা গেছে,কৃষি খামারে যান্ত্রিকরণ ব্লক প্রদর্শনী স্থাপনের মাধ্যমে হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদের জন্য ৫০ একর জমিতে সম্ভাব্যতা যাচায়ের দায়িত্বপায় কৃষিবিভাগ। সেই লক্ষে শুরু হয় যাচাই বাচাই। কিন্তু পরবর্তীতে প্রকল্প শুরু না করায় সদর উপজেলায় সদর উপজেলায় আড়াইশত একর জমি এখন এখনো অনাবাদি পরে আছে।
কৃষকদের অভিযোগ,তাদের জমিতে আবাদ করতে নিষেধ করার ফলে জমি অনাবাদি রাখা হয়। ফসল বোনার সময় পার হয়ে যাওয়ায় অন্য কোন ফসল বুনারও সুযোগ না থাকায় চলতি বোরো মৌসুমে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে তাদের। আর এ মুহুর্তে ১৪.১৭০০০ টাকা বরাদ্দের প্রকল্পটি অন্যস্থানে বাস্তবায়িত হওয়ায় অনাবাদি রয়েছে জমি। এদিকে নানা কৃষিবিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও অভিযোগ এনে মানববন্ধর করে স্থানীয় কৃষকরা।
বাংলাদেশ কৃষকলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক হিজবুল বাহার রানা জানান, লক্ষ্মীপুরে কৃষকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা চেয়েছেন কর্মকর্তারা। কর্মকর্তাদের চাহিদা অনুযায়ী টাকা না দেওয়া অন্যের কাছ টাকা নিয়ে প্রকল্পটি অন্য জায়গায় স্থাপন করেন তারা। কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা আরো বলেন,রবি মৌসুমে লক্ষ্মীপুরে প্রদর্শনী প্রকল্প বাস্তবায়নে কয়েক স্থানে কৃষকদের জমিতে হাইব্রিড জাতের বোরো ধানের ব্লক প্রদর্শনী স্থাপনে আশ্বাস দেওয়া হলেও পরবর্তিতে তা না হওয়ায় আড়াই শত একর জমি অনাবাদি থাকার শংকা দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ অস্বিকার করে লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মো বেলাল হোসেন খান জানান,চারটি স্থানে কৃষকদের সাথে কথাবলে জানানো হয়েছে এরকম একটি প্রকল্পবাস্তবায়ন করা হবে। তবে কোন কৃষকদেরকে আশ্বাস দেওয়া হয়নি। যেখানে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ৫০ একর জমিসহ সবকিছু উপযুক্ত পাওয়া যাবে সেখানেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। যে যেহেতু এই প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের বিজ সারসহ অন্যন্য সব কিছু দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেহেতু কৃষকরা এরকম একটি প্রকল্প না পাওয়ার নানা প্রকার কথা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।