স্বাধীনতার সূতিকাগার মেহেরপুরের মুজিবনগর-কলকাতা স্বাধীনতা সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ২৬ মার্চ উদ্বোধনের লক্ষ্যে এক কোটি চার লাখ টাকা ব্যয়ে এ সড়ক নির্মান করছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে স্বাধীনতা সড়কের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত প্রধানমন্ত্রীর।
এলজিইডি মেহেরপুর সূত্রে জানা গেছে, মুজিবনগর থেকে ভারতের নদীয়ার কৃষ্ণনগর সড়কের প্রায় ৫শ মিটার হিয়ারিং বন্ড রয়েছে বাংলাদেশ অংশে। এই ৫শ মিটার সড়ক পাকাকরণের পাশাপাশি মুজিবনগর ইমিগ্রেশন ও কাস্টম চেকপোষ্ট স্থাপনের কাজও চলমান। এই সড়ক বাস্তবায়িত হলে একদিকে যেমন দু-দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে তেমনি মেহেরপুরবাসীর জন্য উন্মেচিত হবে অর্থনীতির নতুন দিগন্ত। বিশেষ করে অঞ্চলের মানুষের জন্য খুলবে অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দুয়ার।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা জানান, এই সড়ক ধরে ভারত থেকে এসে ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল জাতীয় চার নেতা মুজিবনগরের আ¤্রকাননে এসে শপথ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রথম সরকারের। জাতীয় চার নেতার সাথে এই সড়ক ধরে এসেছিলেন অসংখ্যা বিদেশি সংবাদকর্মী ও মুক্তিযোদ্ধা।
স্থানীয়রা জানান,সীমান্ত এলাকা হওয়ায় অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে আছে এই এলাকার মানুষ। কৃষিনির্ভর এই এলাকার অর্থনীতির মুল উৎস হলো কৃষি। শিক্ষিত বেকারের সংখ্যাও কম না। তাই স্বাধীনতা সড়ক কে ঘিরে একগুচ্ছ কর্মসংস্থানের সপ্ন দেখছেন এই এলাকার বেকাররা। এটিকে ঘিরেই নতুন দিনের সম্ভাবনা দেখছেন এ অঞ্চলের মানুষরা। এই সড়ক কে ঘিরে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে আশা করছেন তারা।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খাঁন বলেন, সড়ক টি বাস্তবায়িত হলে সেবা খাতের উন্নতি ঘটবে। নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। শুধু মাত্র এলাকার মানুষের কৃষি খাতের উপর যে নির্ভরতা সেটাতো কমবেই সেই সাথে বহুমুখি অর্থনীতির বিপ্লব ঘটবে।