মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না পুলিশ। সাম্প্রতিক সময়ে সশস্ত্র এসব ডাকাত যেন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গত ৩ মাসে মহাসড়কের কুচিয়ামোড়া হতে চালতি পাড়া পর্যন্ত ৫ কি.মি. মধ্যে ৮ টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এছারা নিমতলা-রশুনিয়া সড়ক ও তালতলা-কাকালদী সড়কে রাতে ও ভোরে ছিনতাই ও ডাকাতি প্রায়ই হচ্ছে। বাড়তি হয়রানির ভয়ে এ নিয়ে অভিযোগও করেন না অনেক ভুক্তভোগী। সর্বশেষ শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলায় ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের চালতিপাড়া নামক এলাকায় বালুর বস্তা ফেলে মৎস্যবাহি একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সায় ডাকাতি হয়েছে।
ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন চালকসহ ৪ জন। তারা হলেন, শ্রীনগর উপজেলার হাসাড়া গ্রামের সুনীল রাজবংশীর পুত্র শ্যামল রাজবংশী (৪৯), একই গ্রামের নিতাই রাজবংশীর পুত্র বিজয় রাজবংশী (৪৫), সিরাজদিখান উপজেলার তাজপুর এলাকার অভি (১৬) এবং সিরাজদিখান উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের অটো গাড়ী চালক এরশাদ (২৮)। গুরতর আহত অভিকে ঢাকা মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকী ৩ জন শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত শ্যামল রাজবংশী জানায়, ভোর সাড়ে ৫ টার দিকে সিরাজদিখান থেকে মাছ নিয়ে হাসাড়া যাচ্ছিলাম। এ সময় পথে ৭/৮ জনের স্বশস্ত্র মুখোশধারী ডাকাত মহাসড়কের চালতিপাড়া নামক এলাকায় বালুর বস্তা ফেলে অবরোধ করে। চালকসহ আমাদের ৪ জনকে আটকে চাপাতি ও রামদার ভয় দেখিয়ে নগদ ৯ হাজার টাকা, ৩ টি মুঠোফোন, মাছসহ গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় বাঁধা দেওয়ায় ডাকাতরা রামদা ও চাপাতি দিয়ে আমাদের আঘাত করে জখম করে।
হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি মো. আফজাল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমাকে ফোনে একজন জানিয়েছে এখন পর্যন্ত কেউ আসেনি।