নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউল হক জিয়া বলেছেন- বিএনপির মাননীয় চেয়ারপার্সন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দ আপনারা প্রায়ই বলেন তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত ছাত্রদলের ত্যাগী এবং দলের ত্যাগী প্রবীণদেরকে দল থেকে স্থানীয় ও সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রতিনিধি হিসাবে মনোনায়ন দেওয়া হবে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই কথার ব্যতিক্রম ঘটিয়ে কি কারণে দলের প্রাথমিক সদস্য না হওয়া এবং অতীতে বিএনপি করে নাই; ছাত্রদলও করে নাই এবং অন্য দল করে এখানে করোনা ভাইরাসের মত মহামারি এসেছে। রোগের মত প্রাণহানি, মানহানী এবং দলের ভিতর আধিপত্য বিস্তার করছে। যারা দলকে বিভক্তি করে ওই ধরনের একজন ব্যক্তি কি করে দলের সদস্য না হয়ে এবং দলের নেতাদের অনুমতি না নিয়ে দলের নাম এবং নেত্রী-নেতার ছবি ব্যবহার করে। নিজ ছবি দিয়ে পোষ্টার বাহির করে। ফেইসবুকে প্রচার করে এবং মাঝে মধ্যে বলে কেন্দ্রের ও জেলার বড় এবং স্থানীয় নেতাদের টাকা দিলে দলের জন্য কাজ না করে এবং সদস্য না হয়ে ছাত্রদল না করেও নেতা হওয়া যায়।
রোববার সকালে ঢাকার শীর্ষ অনলাইন নিউজ এজেন্সি এফএনএসকে এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। জিয়াউল হক জিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- জেল, জুলম, নির্যাতন, অত্যাচারের শিকার না হয়ে দল করা যায়, এবং এমপিসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে হওয়া যায়। আমি নেতৃবৃন্দকে প্রশ্ন করি- তাহলে ৪০ বৎসর দলের কার্যক্রম করার দরকারটা কি? তাই বলব ওই ধরনের হাইব্রিড মার্কা ব্যক্তিদের লাগাম টেনে ধরুন এবং একটি নিবন্ধনকৃত দলের নাম যাতে না ব্যবহার করতে পারে এজন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। দলের চেইন অব কমান্ড ঠিক রাখুন। আপনাদের এই দূর্বলতাই দলের ত্যাগী নেতা কর্মীরা হতাশ হচ্ছে। দিনের পর দিন দল দূর্বল হচ্ছে। একসময় টাকা দিয়ে অনেকেই মুসলিম লীগের নেতা হয়েছিল তাদের কোন আদর্শ ছিলনা। তাদের লক্ষ্য ছিলো ক্ষমতা আর অর্থ উপার্জন। আজ সেই মুসলিমলীগ কোথায়? তাই বলবো এই দল এখন বাংলাদেশের বৃহত্তর দল। শুধু শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শ এবং দর্শনের রাজনীতির নিয়ামক শক্তির বীজ রোপন করেছেন।
জিয়াউল হক জিয়া এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ১৯৭৮ইং সনের ১লা জানুয়ারী ছাত্রদল নামের এই সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। তাই বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন এই দল থাকবে এবং এই দল দেশের জন্য কাজ করবে। তাই নেতৃবৃন্দকে বলবো এখনও সময় আছে কর্মীরা আপনাদের হাইব্রিড মার্কা নেতা বানাইবার মেশিনের কথা জানলে আপনাদেরকে এবিএম মেশিনের মত বর্জন করতে বিদ্রোহ করবে। জিয়াউল হক জিয়া আরো বলেন, প্রিয় নেতৃবৃন্দ- তখন আমও যাবে ছালাও যাবে। দয়া করে এই ধরনের পরিত্যাক্ত হাইব্রিড মার্কা ব্যক্তিদের দলে স্থান দিয়ে দলকে ধ্বংস করবেন না। কারণ, এরা অন্য দল থেকে পরিত্যক্ত। তাই বলি দুষ্ট গরুর চেয়ে শুণ্য গোয়াল অনেক ভালো। এদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, মানসিক মহামারির মত ভয়ংকর। এদের স্বার্থ রক্ষা না হলে অতি কাছের মানুষের বিরূদ্ধেও আদালতে মামলা দিয়ে থাকে। এদেরকে দলের নেতা মানা যায় না? এমনি দলের নেতা কর্মীরা সরকার এবং সরকারী দলের পক্ষ থেকে মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় হাজিরা দিতে প্রতি নিয়ত আদালতে হাজির থাকতে হয়। জিয়াউল হক জিয়া অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, যেই ব্যক্তিটি দলের এই নির্যাতিত নেতা, কর্মীদের সোহাগ, শাসন দিয়ে বুকে ধারণ করে রেখেছেন এবং বিনা খরছে নেতা-কর্মীদের মামলা পরিচালনা করে জামিনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। আমাদের সেই প্রিয় জননেতা, মাটি আর মানুষের নেতা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য স্থায়ী কমিটির সদস্য রাষ্ট্র পরিচলানায় উচ্চ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন সেই ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদকে রাজনৈতিক ভাবে এখন অস্থিরতার মাঝে রাখা হয়েছে। তাঁর সংসদীয় আসনের নেতা, কর্মীদের মধ্যে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাঝে অনৈক্যের সৃষ্টি করে অপরাজনীতির বীজ রোপন করে এমনকি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দিয়েছেন তাই বলবো। এই অপশক্তিকে রুখে দাঁড়ান। বিএনপিকে রক্ষা করুন।