বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) আইন মেনে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ ও বিভাগগের শিক্ষকবৃন্দের প্রমোশন/আপগ্রেডেশন/বেতন বন্ধ রেখে হয়রানির প্রতিবাদে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে রসায়ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) শ্রেণি কক্ষের বাইরে শিক্ষার্থীদের স্বত:স্ফূর্ত অংশগ্রহণে পরীক্ষা গ্রহণ করে বিভাগটি। এর আগে ৭ ফেব্রুয়ারি (রোববার ) রাতে রংপুর মেট্রোপলিট তাজহাট থানায় বিভাগটির দুইজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বিভাগটির প্রধান তানিয়া তোফাজ।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-৪ এর প্রাঙ্গণে মিড সেমিস্টার পরীক্ষা দিচ্ছে রসায়ন বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থীরা। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেলা সাড়ে ১২টায় এ পরীক্ষা শুরু করা হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, জিডিতে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। বিভাগের জটিলতা নিরসনে আমরা শিক্ষার্থীরা অনুরোধ করলে বাকি শিক্ষকরা ম্যামের (তানিয়া তোফাজ) সাথে সাক্ষাৎ করে। আমরাও সেখানে উপস্থিত ছিলাম। জিডিতে যেসব কথা বলা হয়েছে এরকম কোনো ঘটনায় সেদিন ঘটেনি। বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হয়রানি করতেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্ররোচনায় তানিয়া ম্যাম এই জিডি করেছেন।
যতক্ষণ না পর্যন্ত তিনি (তানিয়া তোফাজ) জিডি প্রত্যাহার করবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইন মেনে বিভাগীয় প্রধান না দিবেন ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা।
এ ব্যাপারে বিভাগটির সাবেক বিভাগীয় প্রধান এইচ এম তারিকুল ইসলাম বলেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের কণ্ঠ যেন বন্ধ না হয় এবং শিক্ষার্থীদের যেন কোনরকম জটে না পড়তে হয় সেজন্য আমরা ক্লাস-পরীক্ষা ও অবস্থান কর্মসূচি একসঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছি।
সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের ২৮ এর ২ ধারা ভঙ্গ সহযোগী অধ্যাপক ড. বিজন মোহন চাকীকে নিয়োগ বঞ্চিত করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে সহকারী অধ্যাপক তানিয়া তোফাজকে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকে বৈধভাবে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে বিভাগটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।