মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে তিন ফসলি জমি রক্ষা, মাটি কাঁটা ও ইট ভাঁটা বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। সোমবার সকাল ১১ টায় উপজেলার লতব্দী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে ঘন্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে ক্ষতিগ্রস্থ্য জমি মালিক ও শতাধিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কৃষিজমি থেকে স্থানীয় ভূমিদস্যু ও মাটিদস্যুরা খিদিরপুর, চন্ডিবর্দ্দি, নয়াগাও বাজার, রামকৃষ্ণদি, কংশপুরাসহ বিভিন্ন গ্রামের মাটি প্রকাশ্যে কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তারা ভেকুু দিয়ে জোর পূর্বক কৃষিজমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছে। ফলে তিন ফসলি কৃষিজমি দিন দিন কমে যাচ্ছে। এ অবস্থা দীর্ঘ ১০ বছর যাবত চলছে। এতে করে হুমকিতে পড়েছে জাতীয় গ্রীডের বিদ্যুতের টাওয়ার ও পল্লী বিদ্যুতের খুঁটি। পরিবেশ ও বসতবাড়ী ধুলাবালিতে ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছে। মাটিকাটা বন্ধের বিষয়ে প্রশাসনকে অবহিত করেও কোনো প্রতিকার পায়নি তারা। কেউ বাঁধা দিলে মাটিদস্যুরা প্রাণনাশের হুমকিসহ নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে তাদের। তাই প্রকাশ্যে তাদের নাম বলতে পারছে না।
এ বিষয়ে লতব্দী ইউপি চেয়ারম্যান এসএম সোহরাব হোসেন বলেন, মাটি কাটার কারণে জাতীয় গ্রীডের বিদ্যুতের দুটি টাওয়ার এখানে হুমকীর মুখে। ফসলী জমি সব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমি ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। এখনো কোন কিছু হয় নাই। যারা মাটি কাটে তাদের সিন্ডিকেট অনেক বড় তাদের নাম নিয়ে কথা বলতে আমি চাই না। এর আগে প্রতিবাদ করায় আমি পড়েছি অনেক ঝামেলায়। প্রশাসন যদি ব্যবস্থা নেয় তাহলে জমি রক্ষা হবে ও এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ বাঁচতে পারবে।