নোয়াখালীর সেনবাগ পৌরসভায় নারী গঠিত বিষয়ের জেরে দুই কর্মকর্তার মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। ওই মারামারির বিষয়টি বর্তমানে পুরো উপজেলা জুড়ে টক অব দ্যা সেনবাগে পরিনত হয়েছে।
জানাগেছে, সেনবাগ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী ও সচিবের দায়ীত্বে থাকা (ভারপ্রাপ্ত) জাকির হোসেনের সঙ্গে পৌরসভার এক নারী কর্মচারী অধ্যাক্ষর ম সঙ্গে দীঘ দিন থেকে পরকীয়া চলে আসছিল। এই নিয়ে পৌরসভার অন্যন্য স্টাফরা কানাঘুষা শুরু করে। এতে প্রকৌশলী জাকির হোসেন ক্ষিপ্ত হয়।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) পৌরসভার জন্মনিবন্ধন সনদের জন্য আসা সেবা গ্রহীতা জৈনক সালা উদ্দিন ছালু সকাল থেকে বেলা পৌন ১২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে বিরক্ত হয়ে ভারপ্রাপ্ত সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেনের মোবাইল কল দিলে তিনি স্টাফদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। এরপর পর্যায়ে তিনি দুপুর পৌনে ১২দিকে অফিসে এসে পৌরসভার প্রধান সহকারী আজাদ ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক মহিন উদ্দিনকে উদ্দেশ্য করে লোকজনকে তার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা সহ নানা রকম অভিযোগ এনে গালমন্দ ও বকাঝকা শুরু করে। এ সময় সচিবের কথায় বিরক্ত হয়ে প্রধান সহকারী আজাদ সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেনকে চড়থাপ্পড় মেরে আহত করে। এ সময় প্রকৌশলী জাকির হোসেন পাল্টা আজাদের ওপর চড়াও হলে অন্যান্য স্টাফরা তাকে উদ্ধার করে একটি কক্ষে আটকিয়ে রাখে। তাৎক্ষনাক মারামারির বিষয়টি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে পৌরসভার একাধিক কর্মচারী জানান, এরআগে পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরীর সময় প্রকৌশলী জাকির হোসেন পরকীয়ার মাধ্যমে পৌরসভার নারী স্টাফ অধ্যাক্ষর ম কে বিবাহ করে। পরে প্রায় দুই লক্ষ টাকার বিনিময়ে কাবিনের শর্তে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ওই সময় তিনি সেনবাগ এখান থেকে অনন্য বদলি হয়ে যান। পরবর্তীতে সে আবারো বিগত ৪ বছর আগে সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে সেনবাগে যোগদান করার পর থেকে সে আবারো পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে ওই নারীর কথায় প্রধান্য দিয়ে অন্যন্য স্টাফদের তিনি নানা ভাবে নাজেহাল করতে থাকে। এর জেরে রোববার ওই মারামারির ঘটনাটি ঘটেছে।
এব্যাপারে যোগাযোগ করলে, সেনবাগ পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী ও সচিবের অতিরিক্ত দায়ীত্বে থাকা জাকির হোসেন মারধরের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন,তবে পরকীয়ার কথা অস্বীকার করেন।
এব্যাপারে সেনবাগ পৌরসভার প্রধান সহকারী আজাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান,প্রকৌশলী ও সচিবের দায়ীত্বে থাকা জাকির হোসেন পরকীয় জড়িয়ে পড়ে ও সময়মত কর্মস্থালে উপস্থিত না থাকায় সেবা গ্রহীতারা তাকে ফোন করলে তিনি বিরক্ত হন এবং অফিসে এসে তাদের গালমন্দ করার কারণে ওই ঘটনাটি ঘটে।
এঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম সারওয়ার দুলাল ঘটনাগুলির সতত্যা নিশ্চিত করেন।
এব্যাপারে পৌরসভার মেয়র আবু জাফর টিপু ও প্যানেল মেয়র-১ সাখাওয়ায় হোসেন সেলিমের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তাদের মুঠাফোনে কল দিলেও উভয়ের কেউ ফোন রিসিভ করেননী।