বেড়ার একসময়ের খরস্রােতা নদী সুতিখালি এখন সরু খালে পরিণত হয়েছে। অথচ সত্তর দশকের পরেও এই নদী দিয়ে বেড়া থেকে নাটোর জেলাধীন চলনবিল পর্যন্ত নৌপথে যোগাযোগের মাধ্যম ছিল এই সুতিখালি। তদানীন্তন সময়ে এই নদী দিয়ে পণ্যবাহী বড় বড় নৌকা চলাচল করতো। তারপর ক্রমেই সুতিখালী নদী তার ঐতিহ্য হারাতে থাকে। বন্ধ হয়ে যায় নৌ চলাচল। নদীর বুকে এখন ফসল চাষাবাদ চোখে পরে।
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিষ্ট মরহুম আবদুল বাতেন (মাষ্টার ) তার লেখা সুতিখালি নদীর আত্মকথা থেকে জানা যায়, ঈশাখাঁ তদানিন্তন সময়ে যুদ্ধের কৌশলগত দিক বিবেচনা করে পাকশির সন্নিকট পদ্মা নদী থেকে তার নামানুসারে বেড়া হুরাসাগর নদ পর্যন্ত ইছামতি নদী এবং হুরাসাগর নদের সংযোগ থেকে সুদূর নাটোর জেলার বৃহত্তর চলনবিল পর্যন্ত সুতিখালি নদী খনন করে নৌপথে যোগাযোগের এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেন। বেড়া সুতিখালি নদী হয়ে নৌপথে নাটোর জেলার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমটি এখন অতীত ইতিহাস। বহু নদ নদীর মতোই করুণ পরিণতি বরণ করতে হয়েছে সুতিখালি নদীকেও। প্রায় হারিয়ে যাওয়া এই নদীকে ফিরিয়ে আনতে পারলে ফিরবে অতীতের গৌরব।