কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে প্রেম করে বিয়ে করে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে, মামলার অগ্রগতি না থাকায় হতাশ হয়ে দরিদ্র পিতার বাড়িতে অসহায় অবস্থায় শিশু সন্তানকে নিয়ে দুর্বিসহ জীবন যাপন করছে কলেজছাত্রী হেলেনা খাতুন। অপরদিকে মামলা করে নানা হুমকীতে নিরাত্তাহীনতায় রয়েছে ওই ছাত্রী। মামলা সূত্রে জানা যায় নাগেশ্বরী উপজেলার পশ্চিম রায়গঞ্জ গ্রামের হাসান আলীর কন্যা কলেজছাত্রী হেলেনা খাতুনকে ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা পূর্ব ফুলমতি গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে ফিরোজ মিয়া (২৫) এর সাথে গত ৩ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের ১টি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। এদিকে ফিরোজ মিয়া স্ত্রী হেলেনাকে তার দরিদ্র পিতার নিকট ৭লক্ষ টাকা যৌতুক আনতে বলে। হেলেনা খাতুন যৌতুকের টাকা আনতে অস্বীকৃতি জানালে শুরু হয় শারিরীক ও মানসিক নির্যাতনের তান্ডব। এক পর্যায়ে হেলেনা খাতুনকে স্বামীর বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে নির্যাতিতা হেলেনা খাতুন তার সন্তানকে নিয়ে দরিদ্র পিতার বাড়িতে অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছে। এ সুযোগে ফিরোজ মিয়া তার স্ত্রী হেলেনা খাতুনকে আদালতের মাধ্যমে একতরফা ভাবে তালাক দিয়েছে বলে হেলেনার পরিবারকে জানায়। এভাবে বেশ কিছু দিন চলার পর ফিরোজ মিয়া হেলেনাকে মোবাইল ফোনে জানায় তুমি রংপুরে তোমার নানার বাড়িতে আসো, আমি তোমাকে আবার বিয়ে করবো।
এক পর্যায়ে গত বছরের ২৩ জানুয়ারি বিয়ের প্রলোভন দিয়ে রংপুর তাজহাট থানার আক্কেলপুর গ্রামের মোতালেব হোসেনের বাড়ীতে ডেকে নিয়ে গিয়ে হেলেনার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে ফিরোজ মিয়া।
এ সময় তার চিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসলে পুলিশ সদস্য ফিরোজ মিয়া তার ব্যবহৃত ল্যাপটপ জাতীয় পরিচয় পত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ফেলে পালিয়ে যায়।
এদিকে ওই বছরের ৩০ জানুয়ারি রংপুর তাজহাট থানায় পুলিশ সদস্য ফিরোজ মিয়ার বিরুদ্ধে একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করে হেলেনা খাতুন। যার মামলা নং-২০/২০, তারিখ-৩০.০১.২০২০খ্রি.। বর্তমান মামলার অগ্রগতি না থাকায় হেলেনা খাতুন তার দরিদ্র পিতার বাড়িতে অতি কষ্টে দিন যাপন করছে।
এ ব্যাপারে মামলার বিবাদী পুলিশ সদস্য ফিরোজ মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান হেলেনাকে আদালতের মাধ্যমে একতরফা ভাবে তালাক দিয়েছি। গত ২বছর থেকে তার সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই। সে আমাকে হয়রানি করার জন্য থানায় ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করেছে।
অপর দিকে রংপুর তাজহাট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ এর সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।