পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খান বলেছেন, বিগত পৌর নির্বাচনে পাবনা সদর পৌরসভায় নৌকা মার্কার পক্ষে ভোট করায় কুচক্রি মহল আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। তারা হেন মিথ্যাচার নেই যা তারা করছে না। তিনি বলেন, গত রোববার রাতে পাবনার ভাড়ারা ইউনিয়নের আতাইকান্দা বাজারে মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের গুলিতে আমিরুল ইসলাম নামের এক রাজমিস্ত্রী নিহত হন। যিনি আগে চরমপন্থিদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। হত্যাকারীরা গুলি করে ফিরে যাওয়ার সময় সর্বহারা পার্টির শ্লোগান দেয়। এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাবা মা বা আত্মীয় স্বজন আমাকে কোন প্রকার দোষারোপ না করলেও সাবেক জাসদ নেতা সুলতানের নেতৃত্বে পাবনা আওয়ামী লীগের কতিপয় নেতা যারা আগে জাসদ করতেন তারা একত্র হয়ে সোমবার শহরে লাশ নিয়ে মিছিল করে এবং আমাকে দোষী বানিয়ে শ্লোগান দেয়। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার সময় পৌর নির্বাচন সংক্রান্ত মামলার বিষয়ে আমি হাইকোর্টে ছিলাম। তার পরেও আমাকে আমিরুল হত্যা মামলার আসামি করতে তারা প্রশাসনকে নানা ভাবে চাপ দেয়। পাবনার পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মামলা গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, এর আগেও লস্কর খা ও আরেকজনের খুনের ঘটনায় তাকে আসামি করার চেষ্টা করে এই মহল। কিন্তু পুলিশ তখনও তদন্ত শেষে আমার সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় পুলিশ আসামীর তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দেয়। এ ভাবে একের পর এক এলাকার সকল হত্যাকান্ডের সঙ্গে আমাকে যুক্ত করতে তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে।
বুধবার পাবনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন সদর উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ভাড়ারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ খাঁন এ কথা বলেন।
আবু সাঈদ খান আরও বলেন, আমিরুল হত্যার দিন আশপাশের সকল মোবাইল ট্রাক করা হলে প্রকৃত আসামি বেরিয়ে আসবে।
তিনি আরও বলেন, এলাকায় আমার প্রতিপক্ষ জাসদ থেকে বর্তমানে আ.লীগে অনুপ্রবেশকারী এলাকায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী সুলতান মাহামুদ খাঁন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এলাকায় হত্যা সংঘটিত করে আমি এবং আমার ভাইসহ আমার সমর্থকদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে আসছে। এই সুলতান ও দোগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হাসানের যৌথ বাহিনী আমাকে হত্যা করার জন্য বিভিন্ন সময়ে চেষ্টা করেছে।
গত বছর এই সুলতান আমার এলাকার হুকুম খাঁ নামে এক ব্যাক্তির হত্যার প্রধান আসামী। তা হলে কিভাবে তিনি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিনের বেলাতে প্রকাশ্যে পুলিশের সামনের শহরে মিছিল করে গেলো। আমাকে নিয়ে রাজপথে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গেলো। আমি প্রশাসনের কাছে আপনাদের মাধ্যমে জানতে চাই। এই সকল হত্যা কান্ডের ঘটনার সঠিক তদন্ত করুন। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করুন। তাহলে বেরিয়ে আসবে প্রকৃত হ্যতাকারী কারা। এই হত্যাকান্ডসহ আমার উইনিয়নের সকল হত্যাকান্ডের সরেজমিন খোঁজ নিয়ে সঠিক ও সত্যা সংবাদ পরিবেশেনের অুনরোধ জানান তিনি।
এ সময় চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ড হুকুম খানের স্ত্রী সুফিয়া খাতুন ও তার ছেলে মগরব খান এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সাবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে নিহত হুকম খানের স্ত্রী ও তার ছেলে কান্নাজড়িত কন্ঠেতার স্বামী ও পতিার হত্যাকারী হিসাবে সুলতার মামমুদ খানসহ তারসন্ত্রাসী বাহিনীর নাম উল্লেখ করে বিচার দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান অবু সাঈদ খান পুলিশ প্রশাসরে কাছে এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তাসহ সম্প্রতি খুনের নিরপেক্ষ তদন্ত করে প্রকৃত খুনিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান।