গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় সরস্বতী পূজার অনুষ্ঠানে মেয়েদের উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় চয়ন বৈদ্য নামে এক স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করেছে বখাটেরা। এ সময় চয়ন বৈদ্যকে রক্ষার জন্য মঞ্জিলা বেগম (৫০) নামে এক নারী এগিয়ে আসলে বখাটেরা তাকেও পিটিয়ে আহত করে।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার শুয়াগ্রামে এ ঘটনা ঘঠে।
আহত স্কুল ছাত্র চয়ন বৈদ্য শুয়াগ্রামের গুরুদাস বৈদ্যর ছেলে ও শুয়াগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র। অপরদিকে আহত মঞ্জিলা বেগম একই গ্রামের রহমান বিশ^াসের স্ত্রী। আহত ২জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় আহত চয়ন বৈদ্যের পিতা গুরুদাস বৈদ্য বাদী হয়ে কোটালীপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগসুত্রে জানাগেছে, গত বুধবার শুয়াগ্রামের ডা. ভবানন্দের বাড়িতে সরস্বতী পূজার অনুষ্ঠানে পাশ^বর্তী দক্ষিণপাড়া গ্রামের ছত্তার শেখের ছেলে শরিফুল শেখ (২০) ও আতিয়ার শেখের ছেলে আজগর শেখ পূজায় আগত মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। এ সময় চয়ন বৈদ্য ও তার বন্ধুরা মিলে এর প্রতিবাদ করে।
এ ঘটনার সুত্র ধরে বৃহস্পতিবার চয়ন বৈদ্য নিজ বাড়ি থেকে শুয়াগ্রাম বাজারে যাওয়ার পথে শরিফুল শেখ ও আজগর শেখ তাদের বন্ধুদের নিয়ে মারধর শুরু করে। এ সময় চয়ন বৈদ্য দৌড়ে জীবন রক্ষার্থে পাশ^বর্তী রহমান বিশ^াসের বাড়িতে গিয়ে আশ্রায় গ্রহণ করে। বখাটেরা এখানেও তার উপর হামলা চালায়। এ সময় রহমান বিশ^াসের স্ত্রী হামলাকারীদের হাত থেকে চয়ন বৈদ্যকে রক্ষা করতে গেলে হামলাকারীরা তাকে মারধর করে।
আহত চয়ন বৈদ্যের পিতা গুরুদাস বৈদ্য বলেন, বখাটে শরিফুল ও আতিয়ার প্রায়ই বন্ধুদের নিয়ে এসে আমাদের এলাকার স্কুল-কলেজগামী মেয়েদেরকে উত্ত্যক্ত করে। এর প্রতিবাদ করায় এই বখাটেরা আমার ছেলেকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য শরিফুল ও আতিয়ারদের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
কোটালীপাড়া থানার ওসি শেখ লুৎফর রহমান বলেন, আহত চয়ন বৈদ্যের পিতা গুরুদাস বৈদ্যের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।