নয় তলা বিশিষ্ট শেরপুর জেলা হাসপাতালের নতুন ভবনের লিফট দুটি গত চার দিন ধরে বিকল হয়ে রয়েছে। লিফট বিকল থাকার কারণে সিঁড়ি বেয়ে রোগী ও তার স্বজনরা না পারছে উঠতে না পারছে নীচে নামতে। এই দূর্ভোগ হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদেরও ভোগাচ্ছে।
জানা গেছে, এ বছরের ৭ জানুয়ারি জেলা হাসপাতালের পুরাতন ভবন থেকে ওই নতুন ভবনে রোগী স্থানান্তরিত হয়। সেদিন থেকে প্রথমে একটি লিফট চালু করা হয়। আরেকটি লিফট বন্ধ রাখে হাসপাতাল প্রশাসন। চালু লিফটি ১৫-২০ দিনের মধ্যেই বিকল হয়ে যায়। চালু করা হয় বন্ধ লিফটটি। এরমধ্যে বিকল লিফটি ঠিক করা হয়। কদিন পর ওই চালু লিফটিও বিকল হয়ে যায়। পরে দুটি লিফট চালু করা হলে তিন দিন আগে আবারও লিফট দুটি বিকল হয়ে যায়। দুটি লিফট এক সাথে বিকল হওয়ায় রোগী, রোগীর স্বজন ও চিকিৎসার সাথে জড়িতরা উঠানামা করতে পারছেন না। সবচেয়ে বেশী বিপদে পড়েছেন চার তলা থেকে নয় তলায় অবস্থান করা রোগীরা। সাহাজ উদ্দিন নামে রোগীর এক স্বজন জানান, তার মা সাত তলায় আছেন। মায়ের ছুটি হলেও নামাতে পারছেন না। ভুক্তভোগীদের অভিমত এত বড় হাসপাতালে শুধুমাত্র দুটি লিফট দেওয়া ঠিক হয়নি। তাছাড়া লিফটের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে জনমনে।
হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক ডা. আনওয়ারুর রউফ জানান, প্রতি লিফটে ১০ জন উঠার কথা থাকলেও সেখানে উঠছেন ১৫-২০ জন। বিকল হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি লিফট ব্যবহারে জনগণের অজ্ঞতাকে দায়ী করেন। তিনি আরও বলেন, লিফট চালু করতে ইতোমধ্যে গণপুর্ত বিভাগের মাধ্যমে ঢাকা থেকে প্রকৌশলী ডাকা হয়েছে। দ্রুত ঠিক করার চেষ্টা চলছে।