নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানায় কর্মরত ১০পুলিশ অফিসার একযোগে বদলির আবেদনে নতুন করে আলোচানায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ১০পুলিশ কর্মকর্তা পৃথকভাবে এ বদলির আবেদন করলেও রহস্যজনক অজানা কারণে তারা ক্ষুব্দ হয়ে এবদলি চাচ্ছেন বলে বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার কোম্পানীগঞ্জ থানার (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি।
সুত্রে জানায়,থানায় কর্মরত ১০জন পুলিশ অফিসার হঠাৎ একযোগে বদলির আবেদন নিয়ে থানার সকলের মাঝে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। গণহারে বদলি চাওয়া অফিসাররা হচ্ছেন, এসআই সরোজ রতন আচার্য্য, এসআই জাকির হোসেন, এসআই শাহীদ হোসাইন, এসআই মোঃ নিজাম উদ্দিন, এসআই এমরান হোসাইন, এসআই রিয়াদুল হাসান, এএসআই বাবুল মিয়া বেগ, এএসআই মো. আবদুল জাহের, এএসআই মো. জহির হোসেন, এএসআই রবিউল আলম। এছাড়াও এ থানায় কর্মরত অন্যান্য অফিসার ও পুলিশ সদস্যরা বদলির আবেদন করার প্রক্রিয়ায় রয়েছেন বলে সূত্র জানিয়েছে।
এদিকে,নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বদলী চাওয়া এক পুলিশ অফিসার বলেন,কোম্পানীগঞ্জ থানা এলাকায় চলমান পরিস্থিতিতে সম্মানের সহিত সরকারী অর্পিত দায়িত্ব পালন করা এখন দুষ্কর হয় দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গত কারনে আমরা সম্মান থাকতে চলে কোম্পানীগঞ্জ থানা থেকে অন্য থানায় বদলী হয়ে যেতে চাচ্ছি। বদলী চাওয়া ১০জন অফিসার চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর এ বদলীর আবেদন পৃথক পৃথক ভাবে করেছেন বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি বলেন, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ৬জন এসআই ও ৪জন এএসআই অন্যত্র বদলির জন্য আবেদন করেছেন। তবে কি কারণে তারা গণহারে বদলি চাচ্ছেন তা তিনি জানাতে অস্বীকৃতি প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী ও ফেনী সদরের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর অপরাজনীতি, টেন্ডার-বাণিজ্য, চাকরি বাণিজ্য ও কমিশন বাণিজ্য বন্ধসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিচারের দাবীতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা আন্দোলন করে আসছেন। এসময় তিনি নোয়াখালী ও ফেনীর নাম উল্লেখিত দু’নেতার সাথে আঁতাত করার অভিযোগ এনে নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি, পরিদর্শকের প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে আন্দোলন ও হরতালসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছেন।