কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়ন সহ কয়েকটি ইউনিয়ন সবজি চাষের জন্য খ্যাত। এই উপজেলার পিরিজপুর ইউনিয়নে শত শত একর জমিতে সবজি চাষিরা সবজি চাষ করায় তাদের মাথায় হাত পড়েছে। এই বছর প্রতি একর জমিতে সবজি চাষিদের খরচ পড়েছে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু সবজির দাম কম হওয়ায় সবজি চাষিদের এখন লোকসানের মুখ দেখতে হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার সকালে পিরিজপুর পাইকারি বাজারে গেলে প্রায় অর্ধ শত সবজি চাষিদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, এই বছর ফুলকপি, বাধা কপি, দেশি লাল আলু, ললিতা আলু জমিতে চাষ করে তারা লোকসান এর মুখে পড়েছেন। প্রতি ফুল কপি ৩ টাকা, বাধা কপি প্রতিটি ২ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১ টাকা থেকে ২ টাকা, সিম প্রতি কেজি ৮ টাকা থেকে ১০ টাকা, লাল দেশি আলু ১৬ টাকা, ললিতা আলু প্রতি কেজি ১২ টাকা দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। এদিকে একমাত্র লেবুর দাম একটু বেশি বলে চাষিরা সাংবাদিকদের কাছে জানিয়েছেন। অন্যদিকে পিরিজপুর পাইকরি বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ি এই প্রতিবেদক কে জানান, কৃষকরা যেমন সস্তায় সবজি বিক্রি করছে, তেমনি তাদের কাছে দেশি পাইকার ছাড়া ও ঢাকা, চট্রগ্রাম, ময়মনসিংহ থেকে আসা পাইকাররা ও খুব একটা সবজি নিচ্ছে না বলে জানান। এখন কৃষকদের নিকট থেকে বিভিন্ন ধরনের সবজি কিনে তারা ও এখন বিপাকে পড়েছেন। তাদের ও এখন লোকসান এর মুখ দেখতে হচ্ছে। অন্যদিকে বিভিন্ন ধরনের কলার বাজার সবজির বাজার থেকে তুলনা মূলক ভাবে ভালো বলে অনেকে মন্তব্য করেন।