৫২র ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযোদ্ধেস্মৃতির প্রতীক শহিদ মিনার। কিন্তু অব্যবস্থাপনা আর রক্ষনাবেক্ষণের অভাবে হুমকির মুখে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার। পৌর শহরের ধান মহল এলাকায় প্রায় ২৪ শতাংশ জায়গার উপর এটি স্থাপিত। ১৯৭০ সালে শহিদ সন্তোষ পাকের্র উত্তর পাশে একটি মাত্র কাঠামো দিয়ে প্রথম শহিদ মিনার তৈরি হয়। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে পাকবাহিনী হামলায় ভেঙ্গে যায় এটি। দেশ স্বাধীননের পর ১৯৭২ সালে পুনরায় মধ্যস্থালে সুউচ্চ একটি কাঠামো ও দুই পাশে হ্রস্বতর দুইটি কাঠামো দিয়ে পশ্চিম পাশে নির্মাণ করা হয় শহিদ মিনারটি। বর্তমানে বছরের তিনটি মাত্র জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা হলেও সারা বছরই থাকে অপরিষ্কার ও ময়লা আবর্জনায় ভরা।
এলজিইডি বাস্তবায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ভুইয়া কনস্ট্রাকশনের নির্মাণ কাজে ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর শহিদ মিনারে পাশেই প্রায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকায় ব্যয়ে র্নিমিত কয়েক তালা বিশিষ্ট্য আধুনিক মুক্তিযোদ্ধা কমপ্রেক্স উদ্বোধন হয়। কিন্তু তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি শহিদ মিনার মূল বেদীর। ২০০৬ সালে মূল বেদী সহ সকল কাঠামো টাইলস পাথর ধারা সংস্কার করা হলেও র্দীঘ ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও বড় কোনো সংস্কারের মুখ দেখেনি শহিদ মিনার। বালু আর গাছের পাতায় নোংরা হয়ে থাকে সবসময়। তাছাড়া অন্ধকার জগৎ থেকে আলোর পথে নিয়ে আসা শহীদের স্মৃতির প্রতীকই থাকে আন্ধকারে। পৌর শহরের ভিতরে হয়েও সারা বছরই অন্ধকারেই থাকতে হয় শহিদ মিনারের চারদিক। একটি সোলার লাইট থাকলেও তাও যেনো তেমন একটা কাজে আসছে না। তাই সন্ধ্যার পরেই মাদক সেবিদের অন্যতম আড্ডার স্থান হয়ে যায় এটি। এই নিয়ে বেশ কয়েক বার মুক্তিযোদ্ধারা পৌরসভাকে অবহিত করলেও এখনো তা আমলে নেয়নি পৌর কর্তৃপক্ষ। কোন প্রবেশদ্বার না থাকায় বিভিন্ন টান্সপোর্ট ব্যবসা ট্টাক সহ বিভিন্ন যানবাহন ভিতরে নষ্ট করে ফেলেছে মাঠের বেশ কিছু অংশ। আবার আশ-শপাশের বাড়ি-ঘরের নিয়মিত ময়লা আবর্জনা ফেলায় ও পথচারিদের পয়:নিষ্কাশনে দূষিত হচ্ছে শহিদ মিনারের পরিবেশ। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক ডেপুটি কমান্ড সোহরাব হোসেন তালুকদার বলেন, র্দীঘ দিন ধরে শহিদ মিনারের পরিবেশ ময়লা আবর্জনায় নোংরা হয়ে আছে। তা উপর আবার ছোট একটি প্রবেশদার ছিলো তাও কমপ্রেক্স নির্মাণের সময় ভেঙ্গে ফেলায় পুরোপুরি উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে শহিদ মিনারটি। ফলে যে যার মত ব্যবহার করছে পবিত্র এই স্থানটিকে।
এ ব্যাপারে পৌর মেয়র আবদুস সালাম জানান, শহীদ মিনার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ও উপজেলা প্রশাসনের। এর মাঝে শহীদ মিনারের মাঠে বালু ফেলা হয়েছে আস্তে আস্তে এটি হবে। পৌরসভার সংস্কার করতে পারবে না পৌরসভার সামর্থ থাকলে আরো আগেই করতে পারতো। নির্বাহী কর্মকর্তার ফোনে চেস্টা করেও তাঁর মন্তব্য নেওয়া যায়নি।