দলীয় কন্দলের কারণে রোববার ২১ ফ্রেব্রুয়ারি আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসে রাজিবপুর বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ,দলীয় ও শোক পতাকা উত্তোালন করতে পারেনি দলটি। সংষর্ষ বাধতে পারে ভেবে চর রাজিবপুর থানা পুলিশ কাউকে অফিস চত্বরে ঢুকতে দেয়নি। ফলে দলীয় কার্যালয়ে না গিয়ে পৃথক পৃথক র্যালী করে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেছে দলের লোকজন।
দলীয় সুত্রে জানা গেছে, বিএনপি’র উপজেলা কমিটি থাকা স্বত্তেও গত ১ মাস হল জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক সাইফুর রহমান রানা একক স্বাক্ষরে মূল কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে বিএনপির বির্তকিত কিছু লোকদের নিয়ে ১টি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেন। এতে মূল ধারা ও বিএনপির ত্যাগী নেতাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। অপর দিকে বিএনপির জেলা কমিটির সভাপতি তাজবিরুল ইসলামও আগের কমিটিকে বহাল রেখে ইউনিয়ন কমিটি প্রস্তুত করে উপজেলা কমিটি গঠনের নির্দ্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন বিএনপির কমিটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার মুল কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাই সরকারের বরাত দিয়ে মহন একুশে উদযাপন করার জন্য মাইকিং করা হয়। অপর দিকে আহ্বায়ক কমিটি হাফিজুর রহমান আর্মী ও হাফিজুর রহমান যুগ্ম আহ্বায়ক নামে ২১ পালনের জন্য মাইকিং করা হয়। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ দলীয় কার্যালয়ে কাউকে ঢুকতে দেয়নি।
এ ব্যাপারে চর রাজিবপুর থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) সাংবাদিকদের জানান,তাদের নিকট তথ্য ছিল দু’গ্রুপে সংঘর্ষ বাধবে। তাই দলীয় কার্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।