আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবসের প্রথম প্রহরে পরম শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় ভাষা শহীদ আবদুল জব্বারসহ ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানালো গফরগাঁওবাসী। ভাষা শহীদ আবদুল জব্বারের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায় গফরগাঁও উপজেলায় পাঁচুয়াতে (জব্বার নগর) হাজারো মানুষের হৃদয় উৎসারিত স্পর্শে জেগে উঠে স্মৃতির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।
উপজেলা প্রশাসন রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদের স্মৃতি বিজরিত পাঁচুয়া (জব্বার নগর) গ্রামের পৈত্রিক নিবাসে ভাষা শহীদ আবদুল জব্বার স্মৃতি জাদুঘরের সামনে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্য বিধি মেনে আয়োজন করে মূল অনুষ্ঠানের।
একুশের প্রথম প্রহরেই শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলা সদর থেকে ৪ কিঃ মিঃ দুরে ভাষা শহীদ আবদুল জব্বারের বাড়িতে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে যানবাহনে চড়ে উপস্থিত হন হাজার হাজার মানুষ। রাত ১২টার পূর্বেই ভাষা শহীদের বাড়ি সংলগ্ন উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকা কানায় কানায় ভরে যায়। রাত ১২টা ১মিনিটে শহীদ বেদীতে প্রথমে স্থানীয় সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেলের পক্ষ থেকে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বাদল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তাজুল ইসলাম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আতাউর রহমান, গফরগাঁও থানার ওসি অনুকূল সরকার, পাগলা থানার ওসি মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান, রাওনা ইউপি চেয়ারম্যান সাহাবুল আলমসহ অন্যান্য ইউপি চেয়ারম্যানগণ, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহ, এরপর গফরগাঁও পৌরসভা, গফরগাঁও প্রেসক্লাব. বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক সংগঠন, স্কুল-কলেজ, সাহিত্য-সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহ এবং সর্বস্তরের হাজারো জনতা পুষ্পার্ঘ অর্পন করে।
সকাল ১০টায় ভাষা শহীদের বাড়ী প্রাঙ্গণে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহীদ জব্বার মঞ্চে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তাজুল ইসলাম। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক আওরঙ্গ হেলালের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন বাদল, ভাইস-চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আতাউর রহমান, শহীদ আবদুল জব্বারের ছেলে নূরুল ইসলাম বাদল, জেলা পরিষদ সদস্য মজিবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য দুলাল উদ্দিন আকন্দ, পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বাবুল, রাওনা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাহাবুল আলম, চরআলগী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাছুদুজ্জামান প্রমূখ। অনুষ্ঠান মঞ্চে গফরগাঁওয়ে ভাষা সৈনিকদেরকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। পরে স্থানীয় শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।