সারা বছর মনে না পরলেও বসন্ত এলেই যে ফুলের নাম সবার মুখে মুখে শোনা যায় তা হলো শিমূল ফুল। পলাশ আর শিমূল না ফুটলে যেন বসন্তই আসে না ধরায়। পলাশের দেখা সর্বত্র না মিললেও দেখা যায় শিমুল গাছ। লাল টকটকে শিমুল ফুল সহজেই প্রকৃতিপ্রেমীর মন জয় করে নেয়। শিমুলের ডালে যেন ফাল্গুনের আগুন লাগে! যদিও পুষ্পপ্রেমিদের কাছে এর খুব একটা কদর নেই। এর অন্যতম আকর্ষণ হলো রং। টকটকে লাল রংই এর মূল আকর্র্ষণ। একসময় মাঠের পাশে, নদীর ধারে বা বাড়ির একপাশে শিমূল গাছের দেখা মিললেও কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে এই গাছ। পাবনার বেড়া উপজেলাতেও একসময় প্রচুর শিমূল গাছের দেখা মিললেও এখন তা অতীত। একদিকে অবাধে বৃক্ষনিধন করে বসতবাড়ি তৈরি অন্যদিকে পরিকল্পিত বৃক্ষরোপণই এ অবস্থার কারণ বলে জানা গেছে। ফলে ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে বসন্তের প্রতীক শিমূল গাছ। ভেষজ হিসেবেও শিমূল গাছের রয়েছে অনবদ্য ভূমিকা। গ্রামাঞ্চলের মানুষ শরীরের বিষ ফোঁড়াতে, গুড় তৈরিতে এবং কোষ্ঠ কাঠিন্য নিরাময়ে একসময় শিমুলের মূলকে ব্যবহার করতো। এখন শিমুলের এসব ব্যবহার হ্রাস পেয়েছে। তাছাড়া শখ করে বাড়ির আঙিনায় কেউ এ গাছ লাগায় না। হঠাৎ করেই কোথাও শিমূল গাছ জন্মায় এবং তা অযতœ, অবহেলায় বেড়ে ওঠে।
বাজারে বিক্রিত অন্যান্য তুলার চেয়ে তুলনা মূলকভাবে শিমূল তুলার দাম চাহিদা অনেক বেশী। কারণ শিমূল তুলার বালিশ নরম ও আরামদায়ক। তবে সরবরাহ অনেক কম থাকায় দাম থাকে চড়া। গাছ কমে গেলেও যে অল্প কিছু গাছ টিকে আছে তাতেই যেন বসন্ত খেলছে পাবনার বেড়া উপজেলার শিমুলগাছের ডালে। ফুল ঝরে মাটিতে পরে থাকে। সেখানেও তার লাল রং দীর্ঘক্ষণ থেকে যায়। হারিয়ে যেতে বসেছে বসন্তের প্রতীক হয়ে ফুটে থাকা রক্তলাল শিমূল গাছ।